পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/৬৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেপ্টেম্বর, ১৮৯২ ] প্রভৃতি পুরাতন চিকিৎসকগণ বায়ু,পিত্ত,কফ ইত্যাদি দোষ (Humour) গুলিকে রোগেtৎপত্তির কারণ বলিয়া মনে করিতেন । তাহাদের সময় ও তাহার অনেকদিন পর পর্যাস্ত চিকিৎসা বিদ্যার বৈজ্ঞানিক ভাগের সহিত ব্যৱসায়িক ও কার্য্যকরী ভাগের বিশেষ কোন সংস্রব ছিল না । তখন ইহার दिख्ठांन छf८शञ्च श्रङ्गानग्न श्य नाझे । दाखदिक মধ্যকালে ধৰ্ম্মের সহিত সকল বিজ্ঞান ও সকল বিদ্যা মিলাইয়া ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ বিজ্ঞানের পথে অর্গল দিয়াছিলেন । কিন্তু পাশ্চাত্য প্রতিভার কাছে সে অর্গল বেশী দিন স্থায়ী হয় নাই । লুথার (Luther) কর্তৃক ধৰ্ম্ম সংস্কারের কিছুদিন পরেই সকল বিষয়েব ংস্কারের দিকে লোকের দৃষ্টি পড়িয়াছিল । এবং ষোড়শ শতাব্দীর শেষে মহামতি বেকন কর্তৃক আধুনিক বিজ্ঞানালোচনার পথ উন্মুক্ত হইয়াছিল । তিনি প্রথমতঃ এই রূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, বিজ্ঞানালোচনায় কেবল মাত্র পরীক্ষা ও পর্য্যবেক্ষণের উপর নির্ভর কব। উচিত। অনেকগুলি পরীক্ষা ফল হইতে আমরা এক একটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুমান সিদ্ধান্তে উপস্থিত হইতে পারি এবং এইরূপ অনেক ক্ষুদ্র সিদ্ধাস্ত একত্র করিয়া এক একটি সাধারণ নিয়ম ধরিতে পারি। কারণ প্রকৃতি সৰ্ব্বদাই সমভাবাপন্না—যাহা আজি ঘটিতেছে কtলও তাঁহাই ঘটিবে, ইহা একরূপ স্থির । এইরূপ সাধারণ নিয়মগুলি হইতে আমরা नूमब्राख्न अछोनिङ पूझ क्रूद्ध विवज्ञ” बूटिङ পারি এবং এইরূপে আমাদের জ্ঞান রাশি ক্রমে বৃদ্ধি পাইতে থাকে। একটি দৃষ্টান্ত দ্বারা ইহা সহজে বুঝা যাইতে পারে। অতিরিক্ত পত্র । l পরীক্ষা দ্বারা দেখিতে পাওয়া যায় কfৰ্ব্বলিঞ্চ SSt এসিড ও পারক্লোরাইড,অৰ মাৰ্কায় পচন নিবারক । মহাত্মা পত্ত্বির(Pasteur) উtছর গভীর গবেষণা দ্বারা স্থির করেন যে, পচন । ক্রিয়। কতকগুলি আণুবীক্ষণিক জীবাণুর উপর নির্ভর করে। পরীক্ষা দ্বারা ইহাও দেখ। যায়, ঐ সকল জীবাণু পারকোরাইড ইত্যাদি দ্বারা ধ্বংস হয়। আরও দেখা যায় অনেক প্রকার জীবাণু ঐ সকল বস্তু দ্বারা ধ্বংস হয় । এখন অন্য কোন রোগে ঐ প্রকারের অথবা অন্য কোন প্রকারের জীবাণুর অস্তিত্বের সন্দেহ হইলে আমরা কাৰ্ব্বলিক এসিড কিম্বা পার . ক্লোরাইড ব্যবহার করিতে পারি। এই প্রকার অনুমান সিদ্ধান্ত মহামতি বেকনই প্রথমে স্বষ্টি করেন । র্তাহার মতে মনকে প্রথমে সকল প্রকার কুসংস্কার ও আবৰ্জনা হইতে মুক্ত করিতে হইবে । যখন আদেশ, গুরুউপদেশ, অসম্পূর্ণ জ্ঞান, ভাবুকত প্রভৃতি দূরে যায়, এবং মানসপট নিৰ্ম্মল স্বচ্ছ মুকুরের ন্যায় অবস্থা প্রাপ্ত হয়, তখন তাহাতে প্রাকৃতিক ঘটনাবলী নিহিত সত্য প্রতিফলিত হয় । তাহার মতে জ্ঞানের ভিত্তি বহুদৰ্শন—নিজে পরীক্ষা করা ভিন্ন কিছুতেই ধারণ সকল পরিষ্কার ও নির্দিষ্ট হয় না । কেবল পরের কাছে গুনিয়া যে জ্ঞান হয়, তাহা অপরিস্কট ও নিতান্ত সামান্য । পরীক্ষা বা প্রত্যক্ষ সিদ্ধান্তের সংখ্য{ যখন অনেক হয় এবং সংশ্লেষণ দ্বারা সেই গুলি একত্র করিয়! আমরা এক একটি সাধারণ অনুমান সিদ্ধান্ত স্থির করিতে পারি } অনেকস্থলেই দেখা যায়, এই অল্পমান সিদ্ধাস্কের সাহায্যে বিশেষ বিশেষ ঘটনার জ্ঞান