চাবিগুলি আমি হস্তে লইয়া একটা একটী করিয়া দেখিতে
আরম্ভ করিলাম যে, উহার কোন চাবি দ্বারা তাহার ঘরের তালা
খোলা যায় কি না । দেখিতে দেখিতে একটী চাবি ঐ তালায়
লাগিয়া গেল, উহার দ্বারা তাহার ঘরের দরজা খুলিয়া আমরা
উহার মধ্যে প্রবেশ করিলাম ।
বেলা যাহা বলিয়াছিল, দেখিলাম, তাহা প্রকৃত, উহার ঘরের
সংলগ্ন একটা ছোট বারান্দা আছে ; ঐ স্থানে দণ্ডায়মান হইলে
রাস্তা দিয়া যে সকল লোক যাত্তায়াত করে, তাহাদিগকে দেখিতে
পাওয়া যায় ও ইচ্ছা করিলে তাহাদিগের সহিত কথাও কহ!
যাইতে পারে ।
উহার ঘরের ভিতর যে সকল আলমারি বাক্স ছিল, তাহার
কোনটী বা অপর চাবি দিয়া খুলিয়া, কোনটী বা ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া
দেখিলাম, উহার যে সকল গহনা ছিল, ও যে সকল গহনা সে সদা
সর্ব্বদা পরিধান করিত, তাহার একখানিও অপহৃত হয় নাই ।
পূর্ব্বকথিত আলমারির একটা দেরাজের ভিতর তাহার সমস্ত
রহিয়াছে। ঐ সকল অলঙ্কার দেখিয়া বেলা কহিল, তাহার যে
সমস্ত গহনা ছিল, তাহার সমস্তই আছে, যে সকল গহনা সে তাহার
অঙ্গ হইতে কখন খুলিত না, তাহাও দেখিতেছ, সে খুলিয়া রাখিয়া
গিয়াছে। ইহা বড়ই আশ্চর্য্য বিষয় !
ইতিপূর্ব্বে আমরা মনে মনে একরূপ সিদ্ধান্তই করিয়াছিলাম
যে, চন্দ্রমুখির অলঙ্কারগুলিই তাহার কাল হইয়াছে । এখন কিন্তু
বেলার কথা শুনিয়া আমাদের সে অনুমান দূরে পলায়ন করিল ।
এখন বুঝিতে পারিলাম, কোন চোর বা অলঙ্কার-লোলুপ কোন
ব্যক্তি দ্বারা এ কার্য্য সম্পন্ন হয় নাই। এ হত্যার অভিষদ্ধি
পাতা:ভীষণ হত্যা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১০
দারোগার দপ্তর, ১৫৭ সংখ্যা।