ভীষণ হত্যা । 00 নাম গিরিবালা, ও কলিকাতার নাম চন্দ্রমুখী। কলিকাতার মধ্যে এখন যে সকল বেশ্যা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার মধ্যে যাহারা নিজে বাহির হইয়া আসিয়াছে, তাহাদের প্রায় সকলের নাম পরিবর্তন হইয়া গিয়াছে । আমার কথা শুনিয়া বিমলাচরণ দত্ত কহিলেন, মহাশয়, আমি যে কেন গিরিবালাকে অনুসন্ধান করিয়া বেড়াইতেছি, তাহা আপনার নিকট সমস্তই প্রকাশ করিতেছি, তাহা হইলে আপনি সমস্তই অবগত হইতে পারিবেন । প্রায় ছয় মাস হইল, আমার স্ত্রী ইহজীবন পরিত্যাগ করিয়াছে ; তাহার মৃত্যুর প্রায় ছয় মাস পূর্ব্বে সে একটী মূল্যবান জমীদারী প্রাপ্ত হয় । তাহার পিতার বংশের কোন ব্যক্তির ঐ জমীদারী ছিল। তাঁহার মৃত্যু হওয়ায় আমার স্ত্রী ব্যতীত তাঁহার আর কোন উত্তরাধিকারী ছিল না, সুতরাং স্ত্রীই সেই অগাধ বিষয়ের উত্তরাধিকারিণী হয়। যিনি ঐ বিষয়ের স্বত্তাধিকারী ছিলেন, হঠাৎ তাঁহার মৃত্যু হওয়ায়, তিনি ঐ বিষয়ের জন্য উইল বা অপর কোনরূপ বন্দোবস্ত করিয়া যাইতে পারেন নাই। সুতরাং আমার স্ত্রী বিষয়ের স্বত্তাধিকারিণী হইয়া আদালত হইতে সার্টিফিকেট প্রভৃতি গ্রহণ করিয়া উহা দখল করিয়া লয়; কিন্তু ঐ জমিদারীর প্রজাগণের সহিত বন্দোবস্ত করিয়া খাজনাপত্র আদার হইবার পূৰ্ব্বেই কোথা হইতে কাল আসিয়া আমার স্ত্রীকে গ্রাস করে । আমার স্ত্রী ঐ বিষয়ের উত্তরাধিকারিণী হইয়া ইহজীবন পরি- ত্যাগ করে, সুতরাং আইনানুসারে ঐ বিষয়ের উত্তরাধিকারিণী তাহার কথা। কিন্তু গিরিবালা ব্যতীত আমার আর কন্যা নাই, সুতরাং গিরিবালাই এখন সেই অগাধ বিষয়ের অধিকারিণী। এই
পাতা:ভীষণ হত্যা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ভীষণ হত্যা ৷
৩৩