পাতা:ভীষ্ম - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SRV) ऊँौद्म রেখেছিল। যদি প্ৰতিজ্ঞা টলতো, তা”হ’লে আমার সযত্ন-রচিত বিশাল বট সেই দিনেই উন্মলিত হ’য়ে যেত। আমার প্রতিজ্ঞ টলাতে প্রকৃতি সময়ে সময়ে তার উপর এক একটি প্ৰচণ্ড আঘাত ক’রেছিলেন-ব্ৰহ্মচৰ্য্যনাশের জন্য কাশীরাজ-কন্যা অম্বা, যুদ্ধ হ’তে নিরস্ত ক’রবার জন্য পরশুরামের শক্তি, বিচিত্ৰবীৰ্য্যের মৃত্যুর পর রাজ্যগ্রহণের জন্য জননী সত্যবতীর অনুরোধ।-- বহুবার বহু উপায়ে প্রকৃতি আমাকে লক্ষ্যভ্ৰষ্ট ক’রবার চেষ্টা ক’রেছিলেন। কিন্তু ব্ৰাহ্মণ, সে দিনের মত পরীক্ষায় আমি আর কখন পড়িনি। যা’র রক্তমাংসের শরীর, সে সেদিনকার দৃশ্যে ক্রুদ্ধ না হয়ে থাকতে পারেনি। কিন্তু আমি ছিলুম। কিছুক্ষণ বিলম্ব হ’লে বোধ হয়, আমাকে সত্যভ্ৰষ্ট হ’তে হ’ত। জনাৰ্দন আমার মনোবেদনা বুঝে, সকলের অলক্ষ্যে সতীর মৰ্য্যাদা রক্ষা ক’রতে কুরুসভায় প্ৰবেশ ক’রেছিলেন। ব্ৰাহ্মণ । নারায়ণ শুধুদ্রৌপদীকে রক্ষা ক’রতে আসেন নি, আমাকেও তিনি সেই সঙ্গে রক্ষা ক’রে গিয়েছেন । ধেী। গাঙ্গেয় ! এত দিনে এ রহস্য বুঝতে পা’রলুম। ভীষ্ম। না ব্ৰাহ্মণ, এখনও বোঝেন নি। সে দিন আমি ক্রুদ্ধ হ’লে, সৰ্ব্বাগ্রে যুধিষ্ঠিরকে বধ ক'রতুম। আমি জানি নারী মাত্ৰেই জগদম্বার প্ৰতিমূৰ্ত্তি। হীন দূতে যে নারীদেহ পণ ক’রে সে সকলেরই বধ্য। সুতরাং সৰ্ব্বাগ্রে আমি যুধিষ্ঠিরকে বধ ক'রতুম। যুধিষ্ঠিরকে রক্ষা ক’রবার জন্য ভীমানি চারি ভ্রাতা নিশ্চয়ই আমার সঙ্গে যুদ্ধ ক’রত ! সুতরাং প্ৰথমেই পঞ্চ পাণ্ডবের আমার হাতে সংহার হ’ত । তার পর কুরুকুল-বাংশে বাতি দিতে একটি ক্ষুদ্র বালক পৰ্যন্ত অবশিষ্ট থাকতো না । ” ধেী। গাঙ্গেয় ॥-মহান গাঙ্গেয় । আমি বুঝতে পারিনি। ভীষ্ম। যে বংশকে রক্ষা ক’বৃবার জন্য পিতার সম্মুখে, মাতার সম্মুখে, অগণ্য আকাশচারী দেবতার সম্মুখে প্ৰতিজ্ঞা করেছিলুম, জীবনের সমস্ত সাধ মাংসার-প্ৰবেশ-মুখে এক মুহূৰ্ত্তে জাহ্নবী জলে বিসর্জন দিয়েছিলুম,-