পাতা:ভীষ্ম - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ধৌম্য, কৃষ্ণ ও অৰ্জ্জুন ব্যতীত সকলের প্রস্থান) ওলী- অ’ । বারংবার আমাকে প্ৰহেলিকা শোনাচ্ছি কেন গোবিন্দ ? কৃষ্ণ। বিস্মিত হয়ে না। সখা, নিশ্চিন্ত হবার কারণ কাল রণক্ষেত্ৰেহ জানতে পা’রূবে। অ। দেখি কৃষ্ণ, তুমি যখন পাণ্ডব-সখী, ’পাণ্ডবের পরাজয় তোমার নুমকে আঘাত ক’রূবে, তখন কুরুক্ষেত্রে আমার অস্ত্ৰধরা কেবল উপলক্ষ। পুণ্ডব তোমার, পাণ্ডবের জয় পরাজয় তোমার। পাণ্ডব তোমাকে ছেড়ে যখুন। একদণ্ডও বেঁচে থাকবে না, তখন তুমি নিজেই যুদ্ধের ব্যবস্থা কর। আমাকে নিস্কৃতি দাও । কৃষ্ণ। ক্ৰোধ ক’র না। সখা। বেশ, কারণ শুনতে চাও-শোন। মহারাজ যখন পিতামহের কাছে তার বধোপায় জানতে যান, তখন * পিতামহ কি ব’লেছিলেন তোমরা স্বত শুনেছ।। যতক্ষণ তার হাতে অস্ত্ৰ থাকবে, ততক্ষণ কেউ তাকে সমরে পরাজিত ক’রতে পারবে না। সুতরাং কা’ল যেমন ক’রে হ’ক তঁাকে অস্ত্রশূন্য করতে হবে। মহামতি ভীষ্মের প্ৰতিজ্ঞ তোমার আবিদিত নাই। আর শিখণ্ডীরও জন্মবৃত্তান্ত তুমি জেনেছ। কাল তোমার একমাত্ৰ কাৰ্য্য—যে কোন উপায়ে শিখণ্ডীকে ভীষ্মের সম্মুখে উপস্থিত করা। তাকে দেখবামাত্র পিতামহ অস্ত্ৰ পরিত্যাগ ক’রূবেন! কৰ্ণ যদি কা’ল যুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করতেন, তা হ’লে তোমার সমস্ত অমানুষিক শক্তি একত্ৰ ক’রলেও শিখণ্ডীকে ভীষ্মের কাছে উপস্থিত ক’রতে পারতে না । * অ । কেন বাসুদেব ? কৃষ্ণ । মহাবীর কৰ্ণ ইন্দ্ৰদত্ত একত্রী অস্ত্রের অধিকারী। অ। কেশব । আমুকে ক্ষমা কর। কৃষ্ণ। নাও আজকের মত তুমিও একটু নিশ্চিন্ত হ’য়ে বিশ্রাম গ্ৰহণ ক’রবে এস ।