এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 4 J না, কেবল বৈজ্ঞানিক যন্ত্র-সাহায্যে ইহা একরূপ স্থিরীকৃত হইয়াছে। সে সামান্ত স্পন্দন কখন ভীষণ ভূকম্পে পরিণত হইবে, তাহা অদ্যাপি কেহ স্থির করিতে পারেন নাই। তবে এই বিষয়ে অনেকের এরূপ মত যে, ভূগর্ভস্থিত স্বাভাবিক বাষ্পরাশি আভ্যন্তরিক বহুস্থানবাপী তাপের সাহচর্য্যে সশব্দে ক্ষিপ্ত হইয়া অনেক সময়ে ভূকম্পের স্বষ্টি করে। সে তাপট যে কি কেহ তাহ প্রকাশ করেন নাই। ৬ম বলিয়াছেন, সেই তাপট বিদ্যুৎশক্তি ভিন্ন অন্য কিছু নহে। অর্থাৎ ভূগর্ভস্থ বাষ্পরাশি বিদ্যুৎ-শক্তির দ্বারা সহসা ইতস্ততঃ সশব্দে বিক্ষিপ্ত হইয়া ভূকম্পের কারণ হয়। স্যার আচ্চিবোল্ড সাহেবের জিওলজিতত্ত্বে লিখিত আছে ঃ “আমাদের নিম্নস্থ ভূমি সর্বদা অল্পবিস্তর কম্পনশীল। তাপমানের আকস্মিক পরিবর্তন, বায়ুর চাপ, বৃষ্টিপাত, পক্ষী ও অন্যান্য জন্তুদিগের পদসঞ্চালন—এইসকল কারণেই পৃথিবী কম্পিত হয়। সেই কম্পনের শব্দ ও তরঙ্গ মাইক্রোফণ ও গ্যালভেনোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে শ্রুতি ও দৃষ্টিগোচর হয়। ভূকম্প সমুদ্রের মধ্যেই প্রথম উদ্বভূত হইয়াছে, সেজন্য স্থলভাগ অপেক্ষ সমুদ্রে জলমধ্যে অধিক কম্প হয়, তখন উহাকে জলকম্প বলে। কেন্দ্র হইতে উদ্ভত কোন আঘাতের তরঙ্গ চতুদিকে বিক্ষিপ্ত হওয়াতেই ভূকম্প হয়। হঠাৎ কোন প্রবল আঘাত বা ধাক্কা যদি পৃথিবীর মধ্যে লাগে তাহলে ভূকম্প হয়। উহা আমরা দেখিতে না পাইলেও অনুমান করিতে পারি যে, বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন অবস্থায় ভূগর্ভে আঘাত লাগে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা ভূগর্ভস্থ কোন গুহার উপরিভাগ