এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 6 ) নিক যন্ত্র সাহায্যেও যাহা বোধগম্য হওয়া সুকঠিন, কেবল অনুমানসিদ্ধ, ইংরাজীতে ইলেক্ট্ৰণ নামে বিখ্যাত ইলেক্ট্রণ বা আণবিক সূক্ষ্ম তেজঃসমষ্টি ভিন্ন স্বৰ্য্য আর কিছুই নহে। ইলেক্ট্রণ ব৷ সেই আণবিক স্বপ্ন তেজটা কিরূপ? প্রলয়কালে সকলপদার্থই লীন হইয়া পরমাণুরূপে ছিল। প্রকৃতির নিয়মে কালধৰ্ম্মে সে পরমাণু সকল প্রথমে ধূমাকার বাষ্প, পরে ব্রহ্মতেজে তেজোরূপে পরিণত হয়। সৰ্ব্বং খলু ইদং ব্রহ্ম এ বাক্যের যাথার্থ আর ছন্দোধ রহিল না। বৃংহ+ধাতু দীপ্তি অর্থে মন্‌ প্রত্যয়দ্বারা ‘ব্রহ্মপদ সিদ্ধ হইয়াছে ; অর্থাৎ যাহা কেবল তেজোময় । সূর্য যে ইলেক্ট্ৰণময় বা অতিসূক্ষ্ম ব্রহ্মতেজোময় ইহা প্রমাণ করিতে আর কষ্ট হইবে না। পুরাণাদিতে আছে সূর্য্যের সহস্র কিরণ । তার মধ্যে কয়েকট আবিষ্কৃত হইয়াছে, আলট্রাভাওলেট্‌ ইহার অন্যতম। উহা এক্ষণে অনেক রোগাদির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হইতেছে । সূর্যা কিরণ বা রৌদ্র কি যন্ত্র মধ্যে ধরিয়া রাখা যাইতে পারে ? তবে দেখা যায় যে সূর্য্যের উক্ত কিরণে যে গুণ বা ধৰ্ম্ম ও বর্ণ আছে, পারদাদি দ্রব্য যুক্ত আলট্রাভ ওলেটের সন্ত্রে সখন পিতাৎ শক্তিকে প্রয়োগ করা যায়, সেই গুণ ও বর্ণযুক্ত হইয়। আলট্রাভা হলেই (কুত্রিম কিরণ) সূর্য্যের স্বাভাবিক কিরণের মত উপকার করে । এক্ষণে প্রমাণিত হইল যে বিদ্যুৎ ই যন্ত্রবিশেষে প্রবিষ্ট হইয়া সূৰ্য্যকিরণের কাজ করিতেছে । বিদ্যুতের আলোক ভিন্ন অন্য গ্যাস বা বাতির আলোকে আলটাভাওলেট যন্ত্র কার্য্যক্ষম হয় না। সূক্ষ্মব্ৰহ্মতেজোময় বা ইলেক্ট্ৰণময় সূৰ্য্য ও ইলেক্ট্ৰণময় বিদ্যুৎ, এ ছটা কি তাহলে