এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8 || অব্যক্তভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হইতেছে। ঐ বিদ্যুৎই ভূমিকম্পের মূখু কারণ। জলীয় অংশই বিদ্যুতের প্রিয় আধার, কারণ সমুদ্রজলের মধ্যে ইহার প্রথম উৎপত্তি। বর্ষাকালে জলপূর্ণ কালমেঘেই বিদ্যুৎ প্রকাশ পায়, শরৎকালে জলশূন্য সাদা মেঘে বিদ্যুৎ প্রকাশিত হয় না। সমুদ্রের মধ্যে ইহার প্রভাব বেশী এবং পুথিবীর নিম্নভাগে জল ও জলীয়পদার্থ আছে বলিয়াই সেখানে বিদ্যুতের প্রবাহ সৰ্ব্বদা চলিতেছে। জলের মধ্যে বিদ্যুতের অধিক অস্তিত্ব থাকাতেই স্থল অপেক্ষা জলে কম্প বেশী হয় । - সৌরজগৎ অর্থাৎ সূর্য্যের জগৎ—এজগতে সূৰ্য্যপ্রভাবেই সকল বস্তু হইয়াছে ও লয় পাইতেছে। জীবন মৃত্যু এই সকলের সূর্যা কারণ। আমরা সূর্য্যের কুপায় বস্তুসকল দেখিতেছি, পাইতেছি, ভোগ করিতেছি আবার নষ্টও করিতেছি। সূর্য্যের আবির্ভাব-বিষয়ে পূর্বে বলা হইয়াছে। প্রলয়কালে অব্যক্ত অর্থাৎ অন্ধকারময় বাষ্পাকারে পরিণত ব্রহ্মে লীন সকল পদার্থই ব্ৰহ্মতেজে তেজোময় হইল, পরে প্রাকৃতিক প্রভাবে বা ব্রহ্মের ইচ্ছায় সেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তেজঃসমষ্টি একীভূত হইয়া প্রকাণ্ড হইল, উহাই সূৰ্য্য। তেজোময় পদার্থ ব্রহ্ম ভিন্ন সূৰ্য্য আর অন্য কিছুই নহে। ঈশোপনিষদে আছে,—“ঈশাবাস্তমিদং সৰ্ব্বং যৎকিঞ্চি জগতাং জগং (” যে সকল বস্তু ইন্দ্রিয়ের অগোচর অতি সূক্ষ্ম, তাহা ব্ৰহ্ম দ্বারা পূর্ণ বা ব্যাপ্ত ও যাহা ইন্দ্রিয়গোচর সে সকলও ব্ৰহ্ম দ্বারা ব্যাপ্ত, এবং এই সমস্ত জগৎই পরিপূর্ণ ব্রহ্ম (তেজঃ )