এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 10 J প্রাকৃতিক নিয়মে শীত, বায়ু ও জলের সংস্রবে আলোকময় তেজোভাগ বিদূরিত হইলে পুথিবী বাহ্যতঃ শীতল ও জড়পিণ্ডের ন্যায় হইল। কিন্তু বাষ্প তেজঃ ও বিদ্যুৎশক্তি ইহার অভ্যন্তরে পূর্ববং রহিয়া গেল। আকাশে জলপূর্ণ কৃষ্ণমেঘের উপরে বিদ্যুৎ যেরূপ নিজশক্তি ও তেজঃ প্রকাশ করে, পুথিবীর অভ্যন্তরে ও সেইরূপ করিয়া থাকে । সমুদ্রের মধ্যে বিদ্যুৎ আছে বলিয়াই সেখানে স্থল অপেক্ষা জলকম্প অধিক হয় । পুথিবীর অভ্যন্তরে জল আছে বলিয়াই সেখানে বিদ্যুৎশক্তি সৰ্ব্বদ প্রবাহিত হয়। জলপূৰ্ণ স্থানেই বিদ্যুতের অনুরাগ অধিক ; সেজন্য জলপূর্ণ কালমেঘেই বিদ্যুৎ প্রকাশিত হয়, শরতের সাদামেঘে বিদ্যুৎ কখনও দেখা যায় না। সেজন্য সমুদ্রমধ্যে বিরাজমান বিদ্যুতের প্রভাবে স্তল অপেক্ষ। জলের মধ্যে অধিক কম্প হইয়া থাকে। যেখানে যখন সেষ্ট আণবিক শক্তিময় বিদ্যুৎপ্রবাহ উচ্ছঙ্খলভাবে প্রবাচিত হয়, পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ গন্ধকাদি দ্রব্য ও জল বাম্পাকারে পরিণত হয়, এবং নিমের বহুস্থানে খাত গৰ্ত্ত ও গহবর হইয়া যায়। তখন বিদ্যুতের প্রভাবে পৃথিবী মুহুমুহুঃ প্রকম্পিন্ত হইলে উক্ত গহবরাদির শূন্যস্থান পূর্ণ করিবার জন্য অব্যক্ত বিদ্যুৎ স্বীয় প্রভাবে পুথিবীর উপরিস্থিত অট্টালিকা সকল ভূমিসাৎ করে। আর কোন কোন স্থানকে একেবারে মাটর মধ্যে নিমজ্জিত করে । এই বিদ্যুৎ ভূমিকম্পের মত জলের মধ্যেও আত্মশক্তি প্রকাশ করিয়া জল কম্প করায় ইহা পূর্বেই উক্ত হইয়াছে। আকাশে জলপূর্ণ কৃষ্ণমেঘের উদয়ে যেরূপ বিছাৎ আলোকপ্রকাশ ও বজ ধ্বনি করে, উহা যেরূপ