এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 12 | ঐ সকল বস্তু ক্ষয়প্রাপ্ত হইতে থাকিলে ভূমির মধ্যে স্থানে স্থানে গৰ্ত্ত ও গহ্বর হয়, উপরিভাগে সঞ্চরিত জীবজন্তু পক্ষীদিগের চাপে পুথিবী স্বল্পাধিক কম্পিত হইলে উপরের মৃত্তিক সেই সকল শূন্যস্থান পূরণ করে। যেস্থানে যখন এইরূপ অবস্থা হয়, সেখানে উপরের মাটী সশব্দে ধ্বসিয়া পড়ে ও পুথিবী কাপে। উপরের মাটী নিয়ে পড়িলেই অনেক বাড়ী ঘর পড়িয়া যায়। যুগযুগান্তর পুথিবী সৃষ্টি হইয়াছে, বেদ মহাভারত রামায়ণ পুরাণাদিসময়েরও বহুপূর্বে অনুমান করা যাইতে পারে। ভূকম্পে ঘরবাড়ী পড়িয়া লোকধ্বংসের বিশেষ বর্ণনা রামায়ণাদিতে বা পুরাণের কোন স্থানে নাই। তাহলে এই সকল ঘটনা যেন অতি আধুনিক দু'এক হাজার বৎসর মধ্যে হইতেছে বলিয়া মনে হয়। এখন যেরূপ ভূকম্পে স্থানবিশেষের ও বহুলোকের সৰ্ব্বধ্বংস হইতেছে সৃষ্টির প্রারম্ভেই ত এইরূপ হইবার কথা । পূর্বকালেও ভূকম্প হইত। উহা একটি অরিষ্ট বা অমঙ্গলের সূচক বলিয়া বর্ণিত আছে। ভূকম্প হইলে অমঙ্গল হয়, সেজন্য কোন শুভকাৰ্য্য করিতে নাই—এইরূপ লেখা আছে। আজকাল এদেশে ময়মনসিং জেলায় উত্তর বিহার নেপাল ও কোয়েটায়, বিদেশে ইউরোপ ও জাপান প্রভৃতির ন্যায় বহুলোকের সহিত নগর ধ্বংসের বর্ণনা ঐ সকল প্রাচীন পুস্তকের মধ্যে দেখা যায় না। এইরূপ দুর্ঘটনা ঘটিলে পুরাণাদি পুস্তকে তাহার কিছু বিবরণ থাকিত। ইংরাজী জ্যাতত্ত্ব বা Geology পুস্তকেও এইসকল ঘটনার আধুনিকত্ব স্বীকৃত হইয়াছে।