এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 13 ] বহুকালে প্রকৃতির নিয়মে এই পৃথিবীর উপরে কত মৃত্তিক ও হিমালয় প্রভৃতি পৰ্ব্বতের উপরিভাগে কত নূতন প্রস্তরস্তুপ হইয়াছে তাহ অবর্ণনীয়। জগদম্বা ভিন্ন এ স্থষ্টিরহস্য আর কে বুঝিতে পারিবে ? যে সকল স্বর্ণাদি ধাতু আমরা ব্যবহার করি, রসায়নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা ঐ সকল ধাতুকে স্থকৌশলে পরমাণুতে পরিণত করিতেছেন। আইনষ্টীন সাহেবের আবিষ্কৃত কাৰ্য্যকলাপের বর্ণনা পাঠ করিলেই ইহা অনেকেই বুঝিতে পারিবেন। পরমাণুর অসীমশক্তি ; তাহার তেজঃ ও বেগ অতি ভীষণ । উহাদ্বারা ইঞ্জিন (কলা) চালাইবারও চেষ্টা হইতেছে। পরমাণুসমষ্টির তেজে কিরূপে সূৰ্য্য প্রভৃতি গ্রহ আবির্ভূত পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। আকাশের উপরে যেরূপ বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতের কারণ ইলেক্ট্রণ সৰ্ব্বদাই আছে। পুথিবীর অভ্যন্তরেও সেইরূপ আছে সেই বিদ্যুৎই ভূকম্পের কারণ। বর্ষ ও শরৎকালে অথবা যে কোন কালে আকাশে সজল কৃষ্ণবর্ণ মেঘ উঠিলে সময়ে সময়ে মেঘের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রকাশ পায়। ঐ বিদ্যুৎ মেঘ হইতে উৎপন্ন নহে। ইলেকট্রণ বা বিদ্যুৎ পূর্বব হইতে সকলস্থান ব্যাপ্ত হইয়া আছে, দুইটী বা বহু সজল কাল মেঘ উঠিয়া বায়ুকর্তৃক ইতস্ততঃ পরিচালিত হইতে থাকিলে সেইস্থানীয় বিদ্যুৎ মেঘের উপরে উদ্ভাসিত হয়। যেরূপ যন্ত্র সাহায্যে সজল পাত্র ও অন্যান্য দ্রব্য রাখিয়া আমাদের গুহ মধ্যে বিদ্যুৎ সংগৃহীত হয়, সেইরূপ আকাশেও অব্যক্ত ইলেকট্রণগুলি ব্যক্ত বিদ্যুৎরূপে প্রকাশিত