এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 18 পুত্র-পৌত্ৰাদি সূৰ্য্যকিরণের আকর্ষণে উপরে উঠতে চেষ্টা করে, তখনই ভূকম্প হয়। কিছুদিন হইল, হৰ্ত্তাকিরণ হিমালয়ের এক অংশে নেপালের দিকে পতিত হইয়া ঐস্থান ও তৎসন্নিহিত পুথিবীর অভ্যন্তর উত্তাপিত করিয়াছিল, সেজন্য ঐ সকল স্থানের অর্থাৎ নেপাল ও উত্তরবিহারের ভূমিসকল অতিশয় কম্পিত হইয়া বিশেষ ক্ষতি করিয়াছে। সেই হৰ্ত্তা কিরণের সংযোগে আমাদের পীড়াদি হয় বা উপস্থিত আকস্মিক কারণে আমরা যেরূপ মৃত্যুমুখে অব্যক্তে লয় পাই, সেরূপ তৎসংসর্গে কম্পিত পৃথিবীর উপরিস্থিত পদার্থসকলও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়! সেই অব্যক্ত কিরণগুলি অদ্যাপি আবিষ্কৃত হয় নাই। কাৰ্য্য দেখিয়া অনুমানে বলা যাইতে পারে, সহস্রকিরণ মধ্যে ঐগুলি হৰ্ত্তাকিরণ । কতকগুলি আবার কৰ্ত্তাকিরণ আছে। তাহাদের মধ্যে কতকগুলি চন্দ্রবিম্বে প্রবিষ্ট হইয়া লতাগুল্মাদির জীবনদান করে, আর কতকগুলি জীবদিগের দেহাত্মরূপ আকাশে অব্যক্তভাবে বিদ্যুৎশক্তির সহিত জীবনরূপে প্রকাশিত হয় তাহাদ্বারা প্রাণিগণ চৈতন্য লাভ করিয়া চলিতে দেখিতে বলিতে পারে। বৈজ্ঞানিকগণের চেষ্টায় একরূপ ভূকম্পের যন্ত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। সেই যন্ত্রের কাটা বৈদ্যুতিক প্রভাবে যখন যেদিকে ঘূরিয়া যায়, বুঝিতে হইবে তখন সেই দিকেই ভূকম্প আরম্ভ হইবে বা হইতেছে। বৈদ্যুতিক শক্তি সৌরতেজেরই কৃত্রিম রূপান্তর মাত্র। উক্ত কৃত্রিম সৌরতেজোরূপ বৈদ্যুতিকশক্তিচালিত যন্ত্রে সূৰ্য্যের হৰ্ত্তা কিরণ পৃথিবীর কোনস্থানে পতিত হইয়া ভূকম্প