এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 19 J করাইবে, তাহা যে জানিতে পারা যায় ইহা বিচিত্র নহে। কারণ সজাতীয় বস্তুই সজাতীয় পদার্থের সাক্ষী হয়। যন্ত্রস্থিত কৃত্রিম সৌরকিরণ হর্তা সৌরকিরণের গতিশক্তি পূর্বেই বুঝিতে পারে, তৎক্ষণাৎ তাহ যন্ত্ৰদশী লোকদিগকে জানাইয়া দেয়। ভূমিকম্পের অব্যবহিত পূর্বে ইহা সূচিত হয়। যেরূপ বায়ুমান ও উত্তপমান যন্ত্রে অনেক নৈসর্গিক বিষয় কবে কোথায় কিরূপ বাত্যাদি হইবে পূর্বে জানিতে পারা যায়, ভূকম্পমান যন্ত্র দ্বারাও অদ্ভূত বৈদ্যুতিক প্রভাবে হৰ্ত্তাকিরণম্পূষ্ট কম্পিষ্যমাণ ভূখণ্ডের স্থান পূর্বেই নির্ণীত হইয়া থাকে। কোন কোন সময়ে খুব অব্যবহিত পূর্বে অর্থাৎ ৪.৫ মিনিট পূর্বে জানা যায়। এরূপ অবস্থায় লোকের বিশেষ উপকার হয় না। যেরূপ সজল কাল মেঘেই বিদ্যুতের প্রকাশ, সজল সমুদ্রের মধ্যে বড়বানলরাপে বিদ্যুতের বিলাস, সেরূপ সজল পুথিবীর অভ্যন্তরেই বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। এইজন্য জিওলজী পুস্তকে লেখা আছে স্থল অপেক্ষ সমুদ্রের মধ্যে কম্প অধিক হয়। ইউরোপ জাপান প্রভৃতি স্থানে সমুদ্রের সন্নিহিত গ্রাম নগরাদিতেই ভূকম্প দেখা যায়, ইহা দ্বারা প্রমাণিত হইতেছে যে বিদ্যুৎই ভূকম্পের মুখ্য কারণ। পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে যে পৃথিবী তাহার অভ্যন্তরস্থিত ধাতুসকলের সহিত স্থৰ্য্য হইতে আবিভূতি । তাই পুথিবীর মধ্যে স্থানবিশেষে সময়ে সময়ে উত্তাপ ও অগ্নির উদগীরণ দেখিতে পাওয়া যায়। মুঙ্গেরে, চট্টগ্রাম বড়বাকুণ্ডে উষ্ণপ্রস্রবণ ও জলের উপরে অগ্নির দীপ্তি দেখিলেই ইহা প্রমাণিত হইবে। ঐ রূপ স্থানেই অধিক ভূকম্প হইয়া থাকে।