পাতা:ভূগোল এবং জ্যোতিষ্‌ ইত্যাদি বিষয়ক কথোপকথন.djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలి নি। ভালই এইক্ষণে আর একটি কথা জিজ্ঞাসা করি, ইলণ্ডের রাজ্যশ্বাসন কি প্রকার ? প। ওহে, এই যে কথা জিজ্ঞাসা করিলা, এ বড় সুন্দর, তবে বলি শুন । ঐ দেশের রাজ্যশাসনের কৰ্ত্ত এক নয়; তিন, অর্থাৎ একজন আর দুই সভা। এই তিনেতে এক ৰাকা হইয় রাজ্য প্রতিপালন করেন। তাহার বিশেষ গুন। রাজা মরিলে রাজার জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ রাজা হন বটে, কিন্তু সভার অনুমতি বিন হইতে পারেন না। আর রাজার যুদ্ধ করিবার এব’ সন্ধি করিবার ক্ষমতা আছে, এবং রাজকৰ্ম্ম উপযুক্ত অনুপযুক্ত বুঝিয়া কাৰ্যচুতও নিযুক্ত করিতে পারেন। কিন্তু এ সকল কৰ্ম্ম ব্যবস্থাতে যেমন লেখে তেমনি করিতে পারেন, ব্যৱস্থ বিনা কোন কৰ্ম্ম করিতে পারেন না । অন্যায় করিয়া যে কাহাকে প্রাণদণ্ড করবেন, কিম্বা আর কিছুকরিবেন,এমন হইতে পারে না । এব্য সভার অসম্মতিতে কোন নূতন ব্যবস্থা চালাইতে পারেন না। সভাস্থদের কিং ক্ষমতা তাহ জান? তাহার নুতন ব্যবস্থা চালাইতে পারেন, ও পুরাতন ব্যবস্থার বদল করিতে পারেন। আর সভা দুইটা কেন? তাহার বিশেষ গুন। বিশিষ্ট সন্তানদের এক সভা, আর সাধারণ লোকদের এক সভা; অর্থাৎ প্রথম সভাতে কুলীন মর্যাদাবন্ত লোক সকল বইসেন, আর দ্বিতীয় সভাতে দেশস্থ লোকেরা যোগ্য পাত্র বিবেচনা করিয়া যাহাকেই পসন্দ করেন, এমন লোক ছয় শত হইতেও অধিক বইসেন। সভাস্থদের প্রধান কৰ্ম্ম এই যে তাহার প্রতি বৎসর হাসিল নির্ণয় করেন, এবং বিলক্ষণ বিবেচনা পূর্বক ব্যবস্তু স্থির করেন ; যে হেতুক আঁহদিগের অসম্মতিতে রাজ রাজস্ব কিম্বা হাসিল লইতে পারেন না। আর যদি কেহ ব্যবস্থা অতিক্রম করে,কি দেশের উপরেৰিপদ ঘটায়, যিনি কেন ইউন না, তাছার নামেতেই সভায় নালিশ হয়।