পাতা:ভূগোল এবং জ্যোতিষ্‌ ইত্যাদি বিষয়ক কথোপকথন.djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- 96אל তের মধ্যে সাড়ে চারি শতের কম নাই, অধিক যে হউক। ইহাদিগকে ধূমকেতু বলে কেন? না পূজার ব্যায় ইহাদের একটা ২ লাঙ্গল আছে, কিন্তু কখনং বিন লাঙ্গলে গুছদের মত গোল জাকারও দেখা যায়। ইহাদের গতি সমান নয়, কথন সন্মুখে চলে, কথন বা পশ্চাৎ চলে ; কোন সময়ে আসলেই চলে না, স্তম্ভিত মায় থাকে। কোন ২ জ্যোত্তিৰ্বেত্তারা বলেন, যে ধূমকেতুকৃষ্ণবর্ণ, ফলতঃ তাহাতে সূৰ্য্যতেজ লাগিলে সে আলো হয়। আর লাঙ্গলের বিষয়ে অনেকে অনুমান কfয়েেছন, যে সূর্যের তেজেতে সেই লাঙ্গুলাকার দেখা যায়, কিন্তু সূর্যের কেমন তেজ লাগিলে তেমন হয়, তাহ নিশ্চয় জানা যায় নই। ধূমকেতু কোন ২ সময়ে যে বেগে ধায় এ কথা প্রায় বিশ্বাস হয় না, কিন্তু ১৭৭• শালের জুলাই মাসে ব্রাইডোন নামে এক সাহেব একটা ধূমকেতু দেখিয়াছিলেন, সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এত দূর পর্যন্ত দৌড়িয়ছিল, যে অনুমানে ঐ ধূমকেতু দিবা রাত্রি বাইট দণ্ডের মধ্যে তিন কোটি ক্রোশ পথ চলিতে পারে। কোনং ধূমকেতু সূর্যের এত নিকটে যায়, যে তাহার শরীর টা একেবারে সূর্যের উত্তাপে ভাজ{ংহইয় উঠে। নিউটন সাহেৰ গণনা করিয়া দেখিয়াছিলেন, যে ১৬৮• শালের ধূমকেতু জুলন্ত লৌহপিণ্ড অপেক্ষায় দুই হাজার গুণ উত্তপ্ত। সৌর জগতের যাৰদ্বম্ভর মধ্যে ধূমকেতু বিষয়ের অনুমানের নিমিত্তে যথেষ্ট ভাবনা জন্মিয়াছে। ধূমকেতুর আকার অতি বিকট, এই হেতুক পৃথিবীর সৃষ্টি অবধি লোক সাধারণের মনে দেখিবা মাত্র ভয় জন্মে, কেননা তাহার উদয়েতে দেশের উপরে যুদ্ধভয় ও মারাভয় প্রভৃতি আপদ ঘটে, এই মস্ত বুৰিয়া তাছাকে দুশোর । আদি চিহ্ন স্বরূপ করিয৷ জানে। যাবৎ পর্যন্ত লোক সকল অজ্ঞান ছিল, তাবৎ পর্যন্ত ঐ সকল মিথ্য ভুয় পাশেতে বাধা ছিল; এখন ধমকেতর যথার্থনির্বচাতে সেই বন্ধনহইতে মুক্ত হইয়াছে।