পাতা:ভূগোল এবং জ্যোতিষ্‌ ইত্যাদি বিষয়ক কথোপকথন.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩৬ প। ওহে ভাই, তবে সে কথা আমি বলি। যখন মেঘকে ফাটাইয় বিদ্যুৎ নির্গত হয়, তখনই শব্দ জন্মে বটে ; কিন্তু শব্দ জন্মিব। মাত্র আমরা শুনিতে পাই না, কিছু ৱিলম্বে শুনিতে পাই। কারণ শব্দ অপেক্ষায় আলো শীত্ব চলে, অর্থাৎ শব্দের শক্তি এই, যে আড়াই পলের মধ্যে বারে ক্রোশ চলে, কিন্তু আলো ১০eeeee ক্রোশ চলে ; অতএব আলো ও শব্দ এককালে নির্গত হয় বটে, কিন্তু এককালে সাক্ষাৎকার হয় না । নি। ভাল, যদি কেহ জানিতে চায়, যে আপনার নিকটহইতে বিদ্যুতের আলো কত দূর অন্তরে, তবে সে কি প্রকারে জানিতে পরিবে ? sp প। আগে তাহাকে এইটি ঠিক রাথিতে হইবে, যে বিদ্যুতের আলোক দর্শনের কত ক্ষণ পরে শব্দ শুনা গেল ; তাহার পর হিসাব করিয়া দেখিবে, যদি আড়াই পলের পরই শবদ শুনা গেল, তবেই জানিবে যে বিদ্যুৎ প্রায় বারে ক্রোশ অন্তরে আছে। নি। বিদ্যুৎ বিষয়ে আর কোন কথা থাকে তবে বল? প। ঐ বিদ্যুতের পতন প্রায় উচ্চতর বস্তুর উপরেই হয়, এই জন্যে কটকার সময়ে গাছের তলায় থাকা উচিত নয়। কোনং বস্তুর এমনি স্বধৰ্ম্ম আছে,যে আর বম্ভঅপেক্ষায় বিদ্যুতের অগ্নিকে অতিশয় আকর্ষণ করে; ধাতুস্রব্যযত আছে সে তাবতেরই ঐ স্বভাব, ইহার এই এক প্রমাণও পাওয়া যায় ; যদি খাপে লাগান আলোয়ারের উপরে বজ্রপাত হয়, তবে ভিতরের তলোয়ার পুড়িয়া যায়, থাপ আমনি বজায় থাকে, কখনই এমনি হয়। আর ক্কোনধ পণ্ডিতেরা এক কল সৃষ্টি করিয়াছেন, সেই ৰূল যুৱাইলে বিদ্যুতের অমির স্বলিঙ্গের ন্যায় স্ফুলিঙ্গ নির্গত হইতে থাকে; এবং ঐ কল খুরাইবার সময় যদি কোন ব্যক্তির গাত্রে লাগে, ভৰে তৎক্ষণাৎ