পাতা:ভূগোল এবং জ্যোতিষ্‌ ইত্যাদি বিষয়ক কথোপকথন.djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38} ১১ পাঠ । মেঘধনুকের বিবরণ । পরমানন্দ ] ওহে ভাই, তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, কথনং আকাশেতে মেঘারম্ভ হইলে ধনুকের মত বেঁকা চিত্র বিচিত্র কি উঠে, তাহ। তুমি দেখিয়া থাকিবা? নিত্যানন্দ । হা, তাহ দেথিতে বড় চমৎকার বটে ; লোকে তাহাকে রামধনুক বলে। আরও বলে, যে ইন্দ্র যখন ধনুকে ছিল। দেন, তখনি সে প্রকাশ পায় ; পুনশ্চ ধনুকের ছিল খসাইলে আর দেখা যায় না । এৰ অ।মিও বালক কালাবধি ঐ কথা ঠিক জানিয়া আসিতেছিলাম বটে, কিন্তু আর সে কথা আমার বড় একটা মনে লয় না; কেননা আমি দেখিয়াছি, যখন হয় তখন ঠিক ধনুকের মত হয় বটে, কিন্তু যখন মিলাইয়া যায়, তখন ছিল শ্বসান ধনু কের মত সোজা না হইয়া কথন অমনি মিলিয়া যায়, কথন বা থগু হইয়া মিলিয়া যায়। সে যাহা হউক, এ কিসে হয়, আপনি বুঝি এ বিষয় জ্ঞাত থাকিবেন? প | হাঁ, তাহা জ্ঞাত আছি বটে, অতএব এখন তোমাকে জানাইতেছি, শুন। যখন পূৰ্বে কিম্বা পশ্চিমে মেঘহইতে বিন্দুং বৃষ্টি পড়ে, তখন তাহার বিপরীত দিকে যদি সুফের প্রকাশ হয়, তখন ঐ বৃষ্টির বিন্দুতে সূর্যের তেজ লাগে, তাহাতেই চিত্র বিচিত্র রঙ্গ ধনুকের মত আকার দেখা যায় । ইহা যদি প্রত্যক্ষ প্রমাণে দেখিতে চাহ, তবে একটা গ্লাসের পত্রে জল ভরিলে তাহার উপরে যদি সূর্যের কিরণ লাগে, তবে তেমনই নানা রঙ্গ দেখা যাইৰে। নি। ভাল তুমি যে কথা কহিতেছ, সে প্রমাণ বটে, গুনিয়া তুষ্ট হইলাম •