পাতা:ভূগোল এবং জ্যোতিষ্‌ ইত্যাদি বিষয়ক কথোপকথন.djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}83 যে মানুষের কৃত চমৎকারে চমৎকৃত না হইয়। বরঞ্চ তাহার ক-মুর প্রতি মনকে স্থির রাখি । তবে এখন তাহাতে অর্থাৎ ঈশ্বরেতে যে২ গুণ আছে, তাহা যৎকিঞ্চিৎ, যদি স্তনাইতে পার তবে আরও সন্তুষ্ট হই । প। ওহে ভাই, আমার কি এত শক্তি আছে, যে ঈশ্বরের গুণ যথার্থ রূপে শুনাইতে পারি? যে হেতু উহার গুণের কথা কি পর্যন্ত সে মানুষের বোধ গম্য নয়। তবে কি তাহার কীৰ্ত্তি সকল দেখিয়া যৎকিঞ্চিৎ অনুমান করা যায়; যেমন কোন সুন্দর আউলিকা দেখিলে বোধ হয়, যে এ অট্টালিক অবশ্য কোন অতিশয় গুণবান ব্যক্তি নির্মাণ করিয়াছে ; তেমনি আকাশ, ও পৃথিবী, ও চন্দ্র, সূর্য, তারা, পৰ্বত, নদী, বৃক্ষ, ডাল, পাল প্রভূতি তাহার অপূৰ্ব সৃষ্টি দেখিলে অবশ্য অনুমান করা যায়, যে যাহার বুদ্ধির ও শক্তির ও দয়ার সীমা নাই, এমন জগতের আদি কারণ এক জন সৃষ্টিকৰ্ত্ত আছেন । আর বিজ্ঞ লোকেরা সৃষ্টি বিষয়ে নানা অনুসন্ধান করিয়া যে পর্যন্ত জানিতে পারিয়াছেন, ও নানা কৰ্ম্মের নানা কারণ যেমন নিরূপিত করিয়াছেন, তদনুসারে প্রমাণ দিয়া আসিতেছি ; কিন্তু আমাদের মনের মধ্যে যেন এই প্রকার দৃঢ় বোধ থাকে, যে সৃষ্টির মধ্যে যত নিয়ম ও যত কারণ আছে, সে অাপনা আপনি হয় নাই, ঐ সকলই ঈশ্বরের স্থাপিত, তিনিই সকলের রাজা ; আর রাজ্যেতে প্রজা সকল যেমন রাজার অজ্ঞামতে চলে, তেমনি ঈশ্বর যে বিধি ব্যৱস্থা দিয়াছেন তনুসারে তাবৎ সৃষ্টি চলিতেছে জানিব দেখ, ইনি প্রতিদিন সূর্যের উদয় করাইতেছেন,এৰ’ বায়ু বহাইতেছেন, নদীঞ্জেরোঁয়ার ভাট থেলাইতেছেন, মেখেতে বৃষ্টি বাইতেছেন, গাউণ্ডে উপযুক্ত সময়ে ফুল ফল ধারণ করাইতেছেন; আর জীব