পাতা:ভূগোল এবং জ্যোতিষ্‌ ইত্যাদি বিষয়ক কথোপকথন.djvu/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ©Ꮌ ১৫ পাঠ । ছাপাকৰ্ম্ম জন্মিবার বিবরণ । নিত্যানন্দ ] ওহে ভাই পরমানন্দ, একটা কথা জিজ্ঞাসা করি কি? এখন যে নানা স্থানে পাঠশালা স্থাপন হইতেছে, ঐ সকল পাঠশালাতে অনেক অতি সুন্দরং ছাপার বহি দেখিতে পাই, আর দিনে ২ নানা ভাষার নানা বহি জন্মিতেছে, ও তাহাতে বিদ্যার পথ অতি সুগম হইয়। উঠিতেছে; এতে অতি সুলক্ষণবটে, কিন্তু এদেশে পূৰ্বে এমন ছিল না; অতএব এই যে ছাপা বিদ্যা এ অতি আশ্চর্যবিদ্যা, ইহার জন্মের বিবরণ কিছু গুনিতে বাৰু করি, যদি অনুগ্রহ করিয়া বল, তবে শুনি । প। ভাল, তবে এই ছাপাকৰ্ম্মের উৎপত্তির কথা বলি, মনোযোগ কর । অনুমান হয় চৌদ্দ শত ত্রিশ শালে হলাণ্ড দেশের অন্তঃপাতি হারলেম নাম নগরে লারেনসীয়স নামে এক ব্যক্তি খেলা করিতেং একটা গাছের গায়ে অক্ষর ক্ষুদিয়া তাহাতে কালি দিয়া কাগজ ছাপা তুলিলেক, তাহাতে ঐ প্রকার অবিকল অক্ষর উঠিল; ইহাতে কিছু ভরসা পাইয়া কাষ্ঠেতে অক্ষর ক্ষুদিয়া ছাপাইতে লাগিল। তাহার পর স্বতন্ত্ৰং কাষ্ঠেতে ভিন্নং একই ছোট অক্ষর ক্ষুদিয়া প্রস্তুত করিতে লাগিল, এৰ ঐ সকল অক্ষর সারিং বসাইয়া পুস্তক ছাপাইতে আরম্ভ করিল। এই ছাপা কন্মের প্রথম সূত্র জানিবা । কিন্তু তিনি যে ঐ প্রকারে কাষ্ঠ ক্ষুদিয়া অক্ষর করিয়া এক পুস্তক ছাপাইয়াছিলেন, তাহাতে এত কাল বিলম্ব ছইয়াছিল, যে এক পুস্তক ছাপাইয়া সমাপ্ত করিতে তাহার ছয় সাত বৎসর গিয়াছিল। প্রথমে ঐ প্রথম সূত্রের বার বৎসর পরে অর্থাৎ চৌদ শত বেয়াল্লিশ শালেতে ঐ ছাপা ঘরে ফক্টস,