পাতা:ভূগোল এবং জ্যোতিষ্‌ ইত্যাদি বিষয়ক কথোপকথন.djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫২ নামে এক ব্যক্তি সে এক গুস্থ অক্ষর, আর তাহারি সাজ সরঞ্জাম এক প্রস্থ যে২ লাগিবে, তাহা লইয়া গিয়া মেনু নামে এক নগরে উপস্থিত হইল, আর সেই থানে গিয়া এক ছাপাখানা বসাইল। তাহার বৎসর দুই তিন বাদে দেখিল,যে কাষ্ঠেতে ক্ষোদ। অক্ষর অল্প দিনের মধ্যে ক্ষয় হইয়া যায়, অর্থাৎ ছাপিতেই অক্ষর ভাল উঠে না, এই বিবেচনাতে সীসার উপরে অক্ষর ক্ষুদিতে আরম্ভ করিল, ঐ কৰ্ম্মের দ্বিতীয় সংস্কার এই হইল। আরবার তাহারি পোনের বৎসর পরে, অর্থাৎ চৌদ্দ শত সাতান্ন শালে, তথাকার শেফর নামে ঐ ফষ্টসের সঙ্গে এক পরামর্শ হইয়া ঢালিবার উপায় সৃষ্টি করিয়া অক্ষর ঢালিতে লাগিল; তাহাতে দেখতে পাইল, যে অক্ষর ক্ষোদা অপেক্ষায় ঢালাতে অতি সুগম হয়, বড় কাল বিলম্ব হয় না । সে অক্ষর ঢালিবার উপায় কি করিয়াছিল, তাহা শুন । প্রথমে ইয়াতের ডাটি করিয়া তাহারি এক মুথে অস্ত্র দিয়া অক্ষর ক্ষুদিয়াছিল; তাহাকে বলে ছেনি। তাহার পর তামার সিড়ী বানাইয় তাহার উপরে সেই ছেণি বসাইয়া দিয়া অক্ষরের ছাঁচ প্রস্তুত করিল। আর তাহাতে সীসা গলাইয়া দিয়! যত অক্ষর মনে করিত ততই তুলিতে লাগিল, এই জানিবা সেই কৰ্ম্মের তৃতীয় সংস্কার। তাহার পর বিবেচনা করিয়াং দেখিল, সৗস যে ধাতু এ কিছু নরম, অতএব সীসার সঙ্গে সূরম মিশাইয় তাহাকে কিছু শক্ত করিয়া দিল। ঐ ছাপাকর্মের প্রথম সূত্রের বত্রিশ বৎসর পরে, অর্থাৎ চৌদ শত বাষট্টি শালে, জৰ্ম্মণি দেশের এক রাজা আসিয়া ঐ নগর অধিকার করিয়াছিলেন। সেই সময়েতে ঐ ছাপাখানায় যত লোক ছিল, এব° ছাপার যত সাজ সরঞ্জাম ছিল, সে সকল নানা স্থানে ছড়াইয়। পড়িলঃ তাহাতে নান দেশে ছাপা বিদ্যা প্রকাশ হইয়া উঠিল ।