পাতা:ভূগোল এবং জ্যোতিষ্‌ ইত্যাদি বিষয়ক কথোপকথন.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলি শুন, যে মিঠানি জলে কোন একটা পক্ষির ডিম্ব ফেলিয়া দে , অমনি শীঘু ডুবিয়া যাইবে, আর সেই জলেতে থানিক লবণ মিশাইয়া সেই ডিস্থ ফেলিয়া দেখ, কখন ডুবিবে না, ভাসিবে | নিত্যানন্দ ভাল, পৃথিবী মণ্ডলের যে এত ভাগ জল ইহাতেইবা কি উপকার? তাহ আমাকে বুঝাইয়া দেও। পরমানন্দ । ইহাতে উপকার এই, তাহারি কতক জল সূৰ্য্য তেজে উদ্বু আকৃষ্ট হইয়া মেঘের সৃষ্টি হয়, সেই মেঘ বায়ুতে চালন করিয়া নিয়া নানা স্থানে ফেলে, তাহাতে সৰ্ব দেশে বৃষ্টি হয়। আর যখন বাতাসে মেঘ উড়াইয়া লইয়া যায়, তখন পৰ্বত সকল উচ্চ এই জন্যে মেঘ গিয় তাহাতে বদ্ধ হয়; সেই নিমিত্তে পর্যুতে বৃষ্টি অধিক হয়, ও শিশির অধিক পড়ে। সেই বৃষ্টির জলেতে পৰ্বতহইতে নদী বাহির হয়, ক্রমতে নদী সকলের বৃদ্ধি হওয়াতে থাল সকল পুরিয়া উঠে, তাহাতে জীব সকলের উপকারের সীমা নাই । আরও দেখ, সাগরের উপর দিয়া যাতায়াত থাকাতে অশেষ বিশেষে সকল দেশের বৃত্তান্ত জানা যায়, ও তাহাতে নানা বাণিজ্য চলে । এ রূপ অনেক প্রকারে লোকদের অনেক২ উপকার হয় । নিত্যানন্দ। ও হে ভাই, জুমি যে প্রকার বুঝাইল ইহাতে চরিতাৰ্থ হইলাম। আর পূৰ্বে যে আমার যথেষ্ট অবিবেচনা ছিল তাহাও মাতায় করিয়া মানিয়া লইলাম। আহা ! ঈশ্বরের বুদ্ধিতে আর মানুষের বুদ্ধিতে যে কত তন্তর তাহাও এখন বুঝিতে পারিলাম । এখন জিজ্ঞাসা করি, অর্থাত কাহাকে বলে ? পরমানন্দ মহাসাগরহইতে নির্গত এব” প্রায় উপসাগরের সমান, আর তাহার মুখ ও বড় ফলাও, এমন যে কোন প্রবল