পাতা:ভূগোল এবং জ্যোতিষ্‌ ইত্যাদি বিষয়ক কথোপকথন.djvu/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

't ৪ পাঠ । পৃথিবীর চারি খণ্ডের বিবরণ। নিত্যানন্দ ] ওহে ভাই পরমানন্দ, এইক্ষণে তোমাকে এই জিজ্ঞাসা করি, যে পৃথিবীর কয় ভাগ আছে? পরমানন্দ । পৃথিবীর চারি ভাগ আছে; ইংরাজী ভাষাতে ঐ সকল ভাগের নাম এইং, ১ ইউরপ, ২ আসিয়া, ৩ আফুিকা, ৪ আমেরিকা | পূৰ্বে কহা গিয়াছে, যে প্রথম তিনটাতে এক মহাদ্বীপ; আর চতুর্থ আমেরিকা সে স্বতন্ত্র এক মহাদ্বীপ। নিত্যানন্দ। ভাল, ঐ প্রত্যেক ভাগেতে স্থান কি সমান ? পরমানন্দ । না, সমান হইবে কেন? ইতর বিশেষ আছে, তাহ বলি শুন । ইউরপ যে এক ভাগ সে ষোল আনার মধ্যে দুই আনা, আসিয়া পাচ আনা, আফুিকা সাড়ে তিন আনা, আমেরিকা সাড়ে পাচ আনা। কিন্তু ইউরপ ও আসিয়াতে আফুিকা ও আমেরিকাহইতেতের গুণ লোক অধিক; ইহার বীজ এই অনুমাৰে বুঝা যায় যে আফ্রিকা দেশ প্রায় বালুকাময় প্রযুক্ত তথাতে শস্য অল্প জন্মেঃ এ জন্যে লোকসখ্যা কম। আর ইউরপ আসিয়া আফুিকাহইতে আমেরিয়া এক সমুদ্র পারে, এ জন্যে সহজে সেখানে লোকের যাইবার যোত্র ছিল না, সূতরা লোক অল্প। নিত্যানন্দ। এখন জিজ্ঞাসা করি, সমুদয় ভাগে কতলোক অাছে ? পরমানন্দ। অনুমান হয় পৃথিবীতে সমুয়ে সাত অর্বুদ অর্থাৎ সত্তর কোটি লোক আছে, তাহার বিশেষ এই ; আশিয়াতে পঞ্চাশ কোটি, আফুিকায় তিন কোটি, আমেরিকায় দুই কোটি, ইউরপে পোনের কোটি; এই সংখ্যানুসারে সমুদ্রয়েতে পৃথিবীর মধ্যে সাত অর্বুদ লোক আছে ।