পাতা:ভূগোল এবং জ্যোতিষ্‌ ইত্যাদি বিষয়ক কথোপকথন.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"を .কোন কৰ্ম্মের নিমিত্ত নিজেরং ধন সমন্তি আনিয়া সৰ্বসাধারণে অর্থাৎ জোতায় প্রবৃত্ত হয়, সেই সমুদয় ব্যক্তিকে এক কোল্পানী বলা যায়। যখন বাদশাহ কোমানীকে সনন্দ দিলেন, তখন তাহাদের সকলে জড়াইয়া মোটে কেবল নানাধিক পাঁচ লক্ষ টাকার সস্থান ছিল; সেই টাকাতে ঐ কোল্পানী নানা বিধ সামগ্ৰী ক্রয় করিয়া চারি থান জাহাজ পরিপূর্ণ করিয়া বাণিজ্যের নিমিত্তে এই দেশে আসিয়া ব্যবসায় কৰ্ম্ম করিতে দিনেং মঙ্গল দেখিতে পাইলেন। পূনৰ্বার এ দেশহইতে যখন যান, তখন এখানহইতে যে সামগ্ৰী লইয়া গিয়াছিলেন, তাহাতে ও দেশে গিয়া যথেষ্ট লাভ হইল ; তাহাতে বাণিজ্য কৰ্ম্মে সাহস বাড়িতে লাগিল। পরে বাণিজ্য করিবার নিমিত্তে বাদশাহের কাছে পুনৰ্বার আর এক সনন্দ পাইলেন, ও বারং কেনা বেচার ফেরা ঘোরাতে হিসাব করিয়া দেখিলেন, যে এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা পুঁজী হইয়াছে। প্রথমে ওলেন্দাজ এব• পোর্বুর্গৗশ ও ইংরাজ ঐহাদের বাণিজ্য করিবার জন্যে সমুদ্র তীরেতে মালবর ও করমেণ্ডল নামে দুই ঠাই ছিল, তাহারি মধ্যে এক জন সাহেব বড় চিকিৎসক ছিলেন ; তিনি সূৱত নামে এক ঠাই সেখানে থাকিতেন। পরে ইংরাজী ১৬৩৬ শালে মোশাহ জহান নামেহিন্দুস্থানের বাদশাহের কন্যার বড় একটা উৎকট পীড়া হইয়াছিল; সেপীড়া অার অন্য কেহ ভাল করিতে পারিল না, পরে ঐ সাহেব সেই সমাচার পাইয়া আগরায় গেলেন; তিনি সেখানে পৌছিয়া ঈশ্বরের ইচ্ছায় তাহাকে সুন্দর রূপে সুস্থা করিলেন, তাহাতেই বাদশাহ সন্তুষ্ট হইয়া অনেৰ সমত্তিতে তাহার সন্মান করিয়া সাহেবের প্রার্থনাতে আপনার অধিকারের মধ্যে নিস্করেতে সৰ্বত্র বাণিজ্য করিবার এক সনদ দিলেন । সেই সনন্দ দেখিয়া ৰাঙ্গালার নবাব ও সন্মত