পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ సెకు ] সকল মরুক্ষেত্রে দিবসে যেমন প্রচণ্ড রৌঞ্জ, রাত্রিকালে তেমনই দুরন্ত শীত। আরবের ভূমি সৰ্ব্বত্রই পরিশুদ্ধ, নদনদী কিছু মাত্রই নাই; জল অতিশয় দুষ্পাপ্য। কখন কখন ক্রমাগত দুই চারি বৎসর বিন্দুমাত্রও রাষ্ট হয় না। আরবের বায়ু প্রায় সকল কালেই উত্তপ্ত থাকে। উত্তর ভাগে মধ্যে মধ্যে সমুম নামে এক প্রকার বায়ু প্রবাহিত হয় । তাহ মুখে লাগিব মাত্র নিশ্বাস বদ্ধ হইয়া প্রাণ বিয়োগ হয় । পরক্ষণেই মৃত দেহ স্ফীত, গলিত ও পুতিগন্ধময় হইয়া উঠে । আরবের বলে এই বায়ু বহিরার প্রাক্কালে গন্ধকের গন্ধ অনুভূত হয় ; আর ষে দিক হইতে আইসে সে দিক অতিশয় লোহিত বর্ণ হইয় উঠে । কেবল একমাত্র উপায় দ্বারা এই বিষাক্ত বায়ু হইতে নিস্কৃতি পাওয়া যাইতে পারে। ইহ বহিতে আরম্ভ হইলেই ভূতলে শয়ন করিতে হয়; এবং যভক্ষণ বহিতে থাকে স্পন্দহীন হইয়া পড়িয়া থাকিলে* কোন বিপদ ঘটে না । এ দেশের পশুরাও স্বভাবসিদ্ধ ংস্কার-বলে এইরূপ করিয়া থাকে । আরবের উপকূলভাগে তেঁতুল, পিগুখেজুর, তুলা, কাফি, দাড়িম, কমলালেবু, বাদাম, আকরট প্রভূক্তি অনেক দ্রব্য জন্মে। এই সকল উপকূলে নানা পকার সুগন্ধি রক্ষ উৎপন্ন হয় । ঐ সকল ব্লক্ষের সৌরভে সমুদ্রের অনেক দূর পর্য্যন্ত আমোদিত হইয়া থাকে । জন্তুর মধ্যে আরবের ঘোটক অতি পুসিদ্ধ। উষ্ট এখানে অনেক। এই পশু আরবদিগের অনেক উপৰুরী; কেবল ইহারই পৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া আরবের মরুভূমিতে পর্য্যটন করা যাইতে পারে। আরবের