পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سبا لاذ ا জলাশয় শুকাইয়া যায়, আকাশ হইত্তে বিষ্ণুমাত্রও ব্লষ্টি বা শিশির পত্তিত হয় না, উদয় ও অস্তকালে স্থৰ্য্যকে অগ্নিময় বোধ হয়, দিবাভাগে রাশি রাশি বাষ্প উথিত হইয়া স্থৰ্যকে কুজৰাটক জালে আচ্ছন্ন করে । এই সময় সহস্র সঙ্কজ পশু নিধন প্রাপ্ত হয়, ভূণ সকল প্রখর জাতপে দগ্ধ হইয়া যায় । ফলতঃ ভৎ কালে এই মরুদেশ অত্যন্ত ভয়ানক হইয়া উঠে । পৃথিবীর মধ্যস্থল হইতে রুলিয়ার সহিত সমান দূরবৰ্ত্তী ইয়ুরোপের জার যে সকল দেশ আছে তৎসমুদায় অপেক্ষ। এখানে গীত আতপ উভয়েরই অধিক প্রাদুভাব । লাপলণ্ডের অভ্যন্ত উত্তর প্রোন্তে শীত-গ্রীষ্মের পৰ্য্যায় এরূপ আশ্চর্ষ্য যে, শুনিলে চমৎকৃত হইতে হয় । এই অংশে গ্রীষ্মকালে ছয় মাসের মধ্যে সুর্য্য একবারও অন্ত যায় না, শীতকছুক্ত ছয়মাসের মধ্যে একবারও উদিত হয় না । সুতরাং এই সকল ভূভাগে সম্বৎসরে একবার দিন ও একবার রাত্রি হয় । দিবাভাগে রাশি রাশি বাপ উদ্ধিান্ত হইয়। সুর্য্যকে মলিন ও কখন কখন আচ্ছন্ন করে । কিন্তু রাত্রিকালে চন্দ্র অতি নিৰ্ম্মল জ্যোতিঃ বর্ষণ করে এৰং জরোর নামক আলোক পদার্থ হইত্তেও অনেক আলোক প্রাপ্ত হওয়া যায় । রুলিয়ায় উত্তরভাগে রাই, যব ও ওট এই ভিন প্রকায় শস্যই প্রধান । মধ্যস্থলে ও দক্ষিণভাগে অপৰ্যাপ্ত গোধুম জন্মে। ভাষাক, পাট, ভূট প্রভৃতিও অনেক উৎপন্ন হয় । ফলের মধ্যে প্রদেশ ভেদে আভা, কুল, চেরি,পীচ,বাদাম, দাড়িম ও তরমুজ প্রাপ্ত হওয়া যায় । রুসিয়ার মধ্যভাগে অনেক বিস্তীর্ণ অরণ্য আছে । সেই