পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩১ ] য়াছে। পূৰ্ব্বে সেই সকল নিবরের জলোচ্ছাসে দেশের অনেক ভাগ প্লাবিত হইত । এক্ষণে হলণ্ডবাসীরা অনেক বাধ প্রস্তুত করিয়া সেই জলীয় উপদ্রব নিব|রণ করিয়াছে। আর ভূমি পঙ্কিল না থাকে এই উদেশে দেশের অভ্যন্তরে অনেক কৃত্রিম নদীও নিখাত করিয়াছে। তদার সমুদায় জল বাহির হইয় পড়ে । iয়ুবেগে সমুদ্রতীর হইতে ক্রমাগত বালুকা উখিত হইয়া হলণ্ডের পশ্চিম উপকূলে পত্তিত হয়, এজন্য তথায় অতি উচ্চ বালুকারাশি নিরীক্ষিত হইয়া থাণ্ড। হলণ্ডে জল অধিক অাছে, আর পর্বতাদি না থাকায়, সমুদ্রবায়ু অপ্রতিহত প্রবেশ করে ; এজন্য অ|কাশ সতত সজল ও কুজৰাটিকায় আচ্ছন্ন থাকে। শীতকালে সমুদায় স্থান হিমানীজালে জড়িত হয় । হলণ্ডে দীর্ঘতৃণপুরিত গোষ্ঠ অনেক নিরীক্ষিত হয় । সেই সকল্প গোষ্ঠে অসঙ্খ্য ভূণজীবী জন্তু বিচরণ করে । ঐ সকল জস্তুই অত্রভ্য কৃষকদিগের প্রধান সম্পত্তি। এ দেশে যে সকল প্রব্যের চাস হয় তন্মধ্যে গেম, শণ পাট, মঞ্জিষ্ঠ ও ভামাক প্রধান। হলণ্ডের জন্তুবৰ্গ তাহার সন্নিহিউ আর আর দেশ সকলের জন্তুবৰ্গ হইতে অধিক ভিন্ন নহে । এজন্য বিশেষ করিয়া উল্লেখ করা গেল না । হলগুবাসীদিগকে ওলোন্দাজ বলে । ষত্ব ও পরিশ্রমের অসাধ্য কিছুই নাই, ওলোন্দাজের একথা বিলক্ষণ সার্থক করিয়াছে । পুৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে হল ৬ মধ্যে মধ্যে সমুদ্রজলে নিমগ্ন হইত ওলোন্দাজের অথরিসীম পরিশ্রম বলে সমুদ্রকে স্বদেশ হইতে দূরীকৃত করিয়া এক প্রকার কারারুদ্ধ করিয়া