পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৮২ ] যথোচিত উন্নতি হইতে পায় না । অধিকন্তু মুসলমানেরা স্বভাবতই বিদ্যার বিশেষ আদর করে না । তাহীদের মতে কোরান পড়াই বিদ্যার সার । কোন কোন বিজ্ঞছুড়ামণি ইহাও কহিয়া থাকেন যে, “কোরানই সকল বিদ্যার সার, কোরানবহির্ভূত সমুদায়ই অকৰ্ম্মণ্য । অতএব কোরান পড়িলেই সমুদায় সার বিষয় পড়া হয়, আর কোরানবহির্ভূত যে কিছু তত্তাবৎই নিতান্ত আসার, সুতরাং পড়িবার প্রয়োজন নাই ।” এরূপ লোকের মধ্যে বিদ্যার সঞ্চার সহসা হয় না । মিসরের শাসনকৰ্ত্তাকে পাস কহে । তিনি নামে তুরুষ্কপতির অধীন, কাৰ্য্যে সম্পূর্ণ স্বাধীন। উহার শালীন নানা প্রকারে মিসরের গ্ৰীৱদ্ধি হইয়াছে। কিন্তু তথাপি তাহাকে যৎপরোনাস্তি যথেচ্ছাচারী কহিত্তে হয় । তিনি বহুসস্থ্যক সেনা ও রণতরি সংগ্ৰহ করিয়া মিসরের পরাক্রম বৃদ্ধি করিয়াছেন, স্থানে স্থানে বিদ্যালয় স্থাপন করিয়া রাজ্যের ভবিষ্যৎ সভ্যতার বীজ রপন করিয়াছেন, সুবুদ্ধি ও কৰ্ম্মদক্ষ বিদেশীয়দিগকে বিধিমতে উৎসাহ দিয়া স্বরাজ্যে রাখিয়া থাকেন এবং অপেক্ষাকৃত সুবুদ্ধি প্রজাদিগের মধ্যে অনেককে বিদ্যা বিশারদ করিবার মানসে সুশিক্ষার্থে ফুন্সিদেশে প্রেরণ করিয়াছেন । পরন্তু ভঁাহার অনুমতি বিনা প্রজারা নিশ্বাস ফেলিতে পায় না বলিলেই হয় । তিনি ষে মজুরী নিৰ্দ্ধারিত করেন ভাহাতেই খাটিতে হয়, ষাহীকে ষে ব্যবসায় অবলম্বন করিতে কহেন ভাহাকে তাহাই করিতে হয় এবং যেখানে যে প্রকার শস্য রোপণ করিতে আদেশ করেন, কাহার সাধ্য