পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৮৩ ] তাহার অন্যথা করে । শিপে কৰ্ম্মও তিনি যেরূপ বলেন তদ্বিরুদ্ধ বা বহির্ভূত করিবার ষো নাই । শিপকরেরা, যাহাদের ইচ্ছা, আপনাদের দ্রব্য বিক্রয় করিতে পায় না, সমুদায়ই র্তাহার নির্দিষ্ট মুল্যে র্তাহারই পাইকেরদিগের নিকট বিক্রয় করিতে হয় । রাজ্য মধ্যে তিনিই একমাত্র ভূম্যধিকারী, অর্থাৎ প্রজাদের কাহারই নির্দিষ্ট ভূসম্পত্তি নাই ; চাসাদের নিকট এত পরিমাণুে শস্য লইব অবধারিত করিয়া তাহাদিগকে আপন ভূমি চাস করিতে দিয়া থাকেন। মিসরের নৌকা, উষ্ট, অশ্ব প্রভূতি যাবতীয় যানের অৰ্দ্ধেক ভঁাহার এবং সমুদায় ঘরটের মধ্যে এক খানিও অন্যের নাই। মিসরে অনেক প্রকার বাণিজ্য ব্যবসায় সম্পন্ন হয় কিন্তু সকলই তাহার হস্ত দিয়া হইয়া থাকে। গ্রথিত্ত্ব আছে মিসর দেশেই বিদ্যা ও শিল্পকৰ্ম্মের প্রথম সৃষ্টি হইয়া কালক্রমে তথা হইতেই ঐ সকল অন্যান্য দেশে বিকীর্ণ হইয়াছে । এই প্রবাদ সম্পূর্ণ সত্যমুলক হউক বা না হউক তথাচ মিসর দেশ যে অতি প্রাচীন কালেই বিলক্ষণ সভ্য হইয়াছিল তাহার কোন সন্দেহ নাই। অদ্যাপি সেই প্রাচীন সভ্যতার ভূরি ভূরি নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায় । মিসর দেশে যে সকল স্তম্ভ ও সৌধ রহিয়াছে তৎসমুদায়ে পুরাকালের মৈসরদিগের বিভব ও শিল্পনৈপুণ্যের বিলক্ষণ পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া ষায় । বাহুল্য বিবরণ এই পুস্তকের উদ্দেশ্যের বহিভূত এজন্য এস্থলে তৎসমুদায়ের উল্লেখ করা গেল না ; কেবল পিরামিড নামক জগদ্বিখ্যাত কতিপয় স্তম্ভের স্থূলমাত্র নিয়ে লিখিত হইতেছে ।