পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২২৩ ] কার দক্ষিণ প্রান্ত বেষ্টন পুরঃসর পূৰ্ব্বমুখে গমন করিলে ভারতবর্ষে উত্তীর্ণ হওয়া যায় । পথের যথার্থ স্থিরভ ছিল বটে কিন্তু তদানীন্তন ইয়ুরোপীয় পোতবাহীরা কখন উহার চতুর্থাংশেও যায় নাই । কোথায় আফি,কার দক্ষিণ প্রান্ত তাহার কিছুই জানিত না । পোতবাহন কার্য্যেও তাহাদের বিশিষ্টরূপ নৈপুণ্য ছিল না । এই সকল কারণে পটু গিজদিগের সঙ্কল্পসাধনে বিস্তর বিলম্ব হইয়াছিল। অবশেষে বহুকাল পরে আফিকার দক্ষিণ প্রান্ত আবিষ্ক ত হইল । তখনও উহা চক্ষের :দখা মাত্র হইয়াছিল ; কারণ যে জাহাজ তন্নিকটবৰ্ত্তী সমুদ্রভাগে প্রথম উপস্থিত হইয়াছিল উহা দুরন্ত ঋটিকায় আক্রান্ত হওয়াতে তীরস্থ হইতে পারে নাই, কেবল দূর হইতে একটা অন্তরীপের অগ্রভাগমাত্র নিরীক্ষণ করিয়। প্রভাগত হইয়াছিল । তথায় দুজ্জয় ঝটিকায় আক্রান্ত হইয়াছিলেন বলিয়া জাহাজের কাপ্তেন, বার্থলমিউ ডায়েজ, নবদৃষ্ট অন্তরীপকে “ঝটিকা অন্তরীপ’’ এই নাম প্রদান করেন । কিন্তু স্বদেশে প্রত্যাগত হইলে উtহার নিযোগ্য ভূপতি, এত দিনে ভারতবর্ষের পথ-প্রাপ্তির চিরকালের অাশ সফল হইবার সুবিধা হইল মনে করিয়া, উহার নাম উত্তমাশা রাখিলেন । উত্তমাশা অন্তরীপ আবিষ্কৃত হইল বটে, কিন্তু অভি দীর্ঘকালে হইল । অবশিষ্ট পথ আবিষ্ক ত হইতে আরও কত কাল লাগিবে তাহার স্থিরতা ছিল না । অধিকন্তু তৎকালে সমুদ্রযাত্রা যেরূপ দীর্ঘকাল-সাধ্য ছিল তাহাতে পাট, গাল হইভে উত্তমাশায় উত্তীর্ণ