পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २8१ ] হ্রদ অনেক দৃষ্ট হইয়া থাকে । মেক্লিকের উপকুলভাগ অভ্যন্ত ভঙ্গিমান । এদেশে শীত গ্রীষ্মের ভাব সৰ্ব্বত্র সমান নহে । যে স্থান যত উচ্চ তথায় গ্রীষ্মের তত তাপ প্রদুর্তাব । এ নিমিত্ত এই দেশ গ্রীষ্ম-প্রধান, নাতিশীতোষ্ণ ও শীতপ্রধান এই তিন অঞ্চলে বিভক্ত । প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলভাগ নিম্নভূভল ; সুতরাং ভথায় অত্যন্ত গ্রীষ্ম ; সেই গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের ভূমি স্থানে স্থানে বালুকাময় ও স্থানে স্থানে উৰ্ব্বর। । তথা ইকু, নীল, ভূটা, কার্পাস প্রভৃতি উষ্ণ দেশীয় যাবতীয় উদ্ভিদ প্রাপ্ত হওয়া যায় । সুগন্ধি ও সুন্দর পুষ্পগুল্ম এবং প্রকাগু প্রকাণ্ড তরুও বিস্তর উৎপন্ন হইয়া থাকে । সেই সকল স্থানে গ্রীষ্ম ও বর্ষ অতিশয় প্রবল, সুতরাং কদৰ্য্য তৃণ গুল্ম দি পচিয়া অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হইয়। উঠে । এদেশের যে সকল প্রদেশ সাগরপৃষ্ঠ হইত্তে ১,৭০০ হস্তের অধিক অথচ ৪,••• হস্তের অপেক্ষা অলপ উচ্চ তৎসমুদায়ে শীত গ্রীষ্মের অভিশষ্য নাই । এজন্য উহাদিগকে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল কহে । তথায় ইয়ুরোপ মহাদেশীয় বিবিধ উদ্ভিদ উৎপন্ন হয় এবং লোকে বিলক্ষণ সুস্থ শরীরে বসতি করে । যে সকল স্থান ৪,০০০ হস্তের অপেক্ষাও অধিক উচ্চ তৎসমুদায়ে শীতের দুরন্ত প্রভাব, এজন্য উহাদিগকে শীতপ্রধান छार्श्वत कद्दइ ! এ দেশীয় প্রায় সমুদায় ব্যবহার্য জন্তুই ইয়ুরোপ হইতে অনেীভ । এখানকার আদিম জন্তুর মধ্যে আপক্স নামক হরিণ ও কচিনেল নামক কীট অভ্যস্ত