পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २> ] বলে এবং তা হয়ে যে প্রদেশে বসতি করে সেই স্থানকে রোহিলাখগু কহে । রোহিলার দীর্ঘকায়, সুগ্ৰী, চতুর ও তেজীয়ান্‌ ; কিন্তু অনেকেই মিথ্যাবাদী, প্রবঞ্চক ও যথেচ্ছাচারী। রোহি লাদিগের ভদ্র লোকের অনেকেই নিঃসম্বল এবং এরূপ অলস ও অতিমানা যে প্রাণান্তেও কোন প্রকার শ্রমসাধ্য ব্যাপারে প্রৱৰ্ত্ত হয় না । অযোধ্যা-অযোধ্যবোমীর প্রায় সকলেই অভিশয় সাহসী, সুবুদ্ধি ও বলবান । বিশেষতঃ এখানকার রজঃপুভের সচরাচর ইয়ুরোপীয়দিগের অপেক্ষাও উন্ন ভশরীর ও দেখিতে সুশ্রী । এই দেশে মুসলমানও অনেক বসতি করে । বাঙ্গালা—এই প্রদেশে নানা জাতীয় হিন্দু ও মুসলমান বসতি করে ; তাহাদের সকলকে বঙ্গালি বলে । বাঙ্গালির শান্ত ও সুবুদ্ধি, কিন্তু দুৰ্ব্বলশরীর ও হানসাহস। বঙ্গলার সন্নিহিত অরণ্যে ও পৰ্ব্বতে কয়েক জাতি জঙ্গলা লোক বসতি করে । ইহাদের মধ্যে গারো, খসিয়া, কুকি ও সাওতাল এই চারি জাতি সমধিক প্রসিদ্ধ । ময়মনসিংহ ও শ্রীহট্টের নিকটবর্তী সমুদায় পৰ্ব্বত গারোদিগের বাসস্থান । ইহাদের আকার ও গঠন কোন অংশেই বাঙ্গালিদিগের সদৃশ নহে ; বরং অনেকাংশে চানদিগের মত । ইহার নিরবচ্ছিন্ন পশুর ন্যায় অসভ্য ও মুখ এবং এরূপ বৈরনির্যাভক যে শক্রকে নিপাত করিয়া তাহার মুগু ভক্ষণ করিয়৷ থাকে। সেই ভুক্তাবশিষ্ট নর-কপাল গারোদিগের ব্যাঙ্কনোটের স্বরূপ এবং মৃত ব্যক্তির পদ ও মর্য্যাদা অনুসারে উহার মূল্যের