পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৩ ] বিবাহ কর্তার অপত্য নহে, সুতরাং ভাহীর সহিত ভাহীদের কোন সম্পর্ক নাই । তাহার। আপন আপন মাতুলের উত্তরাধিকারণ হয়। মাতুলের ভাগিনেয়দিগকেই আপন সন্তানের ন্যায় জ্ঞান করে । দাক্ষিণ ভাবাসী জঙ্গল লোকদিগের মধ্যে নীলগিরি নিবাসী দুইটা সম্প্রদায় ব্যতিরেকে আর সকলেই অসভ্য মুখ দেখিতে কদাকার, কৃষ্ণবর্ণ, খৰ্ব্বাকার ও কেীপীনধারী । ইহারা দুই একটী হিন্দুদেবভার অর্চনা করিয়া থাকে ; তদ্ব্যতিরেকে ইহাদের স্বকপোলকপিত আরও অনেক দেবতা আছে। শীতল দেবীকে ইহার প্রগাঢ় ভক্তি করে । এই সকল দেবতার নিকট পশু পক্ষী বলি দেয়। ইহাদের পুরোহিতের বলে “ঠাকুর তাহাদিগকে স্বয়ং উপদেশ দিয়া থাকেন।” ইহারা সকলেই সুরাপান এবং অনেকেই গোহ ভ্য ও গোমাংস ভক্ষণ করে । ইহাদের মধ্যে বিন্ধfiচলবাসী ভীল, গোন্দয়ানা নিবাসী গোন্দ এবং উড়িষ্যার পর্বতবাসী পুলিন এই কয় সম্প্রদায় অধিক প্রসিদ্ধ; বোধ হয় সাওতালেরাও ইহাদেরই বংশ । ভীলের নিরস্তর দমুর্বৃত্তি করে । গেন্দেরা বন্য পশুর অপেক্ষা অধিক সভ্য নহে । ইহাদের মধ্যে বিন্দরবর নামে সম্প্রদায় এরূপ অসভ্য যে তাহাদের কোন আত্মীয় ব্যক্তি বুদ্ধ বা উৎকট রোগে আক্রান্ত হইলে তাহার ৫ী হতভাগ্যকে বিনাশ করিয়া তাহার মাংস ভক্ষণ করে । কহে, এরূপ করিলে ভগবর্তী কালী প্রসন্না হন । পুলিন্দেরাও নিতান্ত অসভ্য । তাহারা বসুমতীর তুষ্টির নিমিত্ত নরবলি প্রদান করিয়ু থাকে যাহাকে নিপাত কৰিবে অগ্রে তাহাকে মদ্য