পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/৭১

[ ४० ] হইয়াছিল । এই সভাকে লেজিসলেটিব কেন্সিল ব৷ ব্যবস্থাপক সমাজ বলিভ। সম্প্রতি তাহ উঠিয়া গিয়াছে এবং তাহার পরিবৰ্ত্তে একটি সাধারণ ব্যবস্থাপক সমাজ এবং প্রত্যেক পুসিডেন্সিতে এক একটা স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপক সমাজ সং স্থাপিত হইয়াছে । সাধারণ সমাজ, সকল প্রেসিডেন্সির সাধারণ বিষয়-সকলের আইন প্রস্তুত করেন এবং এতদ্ভিন্ন যে সকল পুদেশ কোন প্রেসিডেন্সির অন্তর্নিবেশিত হয় নাই তৎসমুদায়ের যাবতীয় আইনও পুণয়ন করিয়া থাকেন । কিন্তু কোন এক প্রেসিডেন্সির অধিকারে মাত্র যে সমস্ত আইন আবশ্যক হয় তৎসমুদায়ের পুণয়নবিষয়ে এ সভা হস্তক্ষেপ করেন না । সে সমস্ত সেই প্রেসিডেন্সির ব্যবস্থাপক সমাজ হইতেই পুস্তুত হয়। সাধারণ সমাজে গবর্ণর জেনারল এবং প্রত্যেক প্রেসিডেন্সিব সমাজে তত্ৰত্য গবর্ণর সভাপভিত্ত্বি করেন । প্রত্যেক সমাজই কয়েক জন গবর্ণমেন্ট কৰ্ম্মচারী আর গবর্ণমেন্টের বেতনভোগী নয় এমন কয়েক জন ইঙ্গরেজ ও এডদেশীয় অবৈতনিক সত্যে সঙ্ঘটিত হইয়াছে । মান্দ্রাজ ও বোম্বাই এই দুই প্রেসিডেন্সিতে এক এক জন গবর্ণর ও দুই দুই জন কেন্সিলর আছেন । আর বাঙ্গাল, আগরা ও পঞ্জাব থবৰ্ণমেন্টে কেবল এক এক জন শাসনকৰ্ত্ত আছেন; ইহাদিগকে লেফটেনেন্ট গবর্ণর বলে। ই হারা অপেন আপন অধিকার মধ্যে কর্তৃত্ব করেন । ই হারা সকলেই গবর্ণর জেনরল ইন্‌ কেন্সিলের অধীন। গবর্ণর জেনরল ইন্‌ কেন্সিল আবার কোন্সিল অব ইণ্ডিয়া নামক এক সভার অপশন।