পাতা:ভূগোল বিবরণ - তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় (১৮৬৫).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৮২ ] ককেসস পৰ্ব্বতের দক্ষিণ ও পারস্যের বায়ুকোণবৰ্ত্তী কিয়দংশ ব্যতিরেকে অসিয়িক রুসিয়ার আর সমুদয় ভাগকে সাইবীরিয়া বলে । সাইকীরিয়৷ উত্তর মহাসাগরের গর্ত হইতে নির্গত হইয়। ক্রমে উন্নত হইয়া উঠিয়াছে । উত্তর ও পৃব্ব ভাগ অভ্যন্ত শীতল দেশ, চিরকাল বরফে আচ্ছন্ন থাকে । তত্ৰত্য বৃহৎ বৃহৎ নদী সকল বরফের রাশির নিম্ন দিয়া ধীর বেগে ও নিঃশব্দে প্রবাহিত হইতেছে । মধ্যভাগেও শীতের এরূপ প্রাদুভাব যে তথায় রক্ষাদি প্রায়ই উৎপন্ন হয় না । দক্ষিণ ভাগে বিস্তীর্ণ কানন ও শস্যপুর্ণ ক্ষেত্র অনেক দেখিতে পাওয়া যায় । সাইবারিয়ার উত্তর প্রান্তকে তন্দ্র বলে । তথায় ব্ৰক্ষ লতাদি কিছুই জন্মে না, কোন জীব জন্তুও থাকিতে পারে না, মধ্যে মধ্যে কেবল পক্ষিবিশেষের শব্দমাত্র, শুনিতে পাওয়া যায় । এই সকল পক্ষীও সেখানকার নিবাসী নহে । তাহার এক প্রদেশ হইতে প্রদেশান্তর গমন কালে ঐ ভয়ানক স্থান অতিক্রম করিয়া যায়। সাইবারিয়ার উত্তরপূৰ্ব্ব প্রান্তে কামস্ব টকা উপদ্বীপে কতিপয় আগ্নেয় গিরি অাছে । আসিয়িক রুসিয়ার ষে ভাগ পারস্যের উত্তরবর্তী তাহাতে সিরবান নামে একটী প্রদেশ আছে । ঐ প্রদেশের পূৰ্ব্বপ্রাস্ত অতি আশ্চর্ষ্য স্থান । তথাকার ভূগর্ত হইতে জনবরত মেটে তেল বহির্গত হইতেছে। ঐ তৈল দুই প্রকার; কৃষ্ণবর্ণ ও শুভ্রবর্ণ। কৃষ্ণবর্ণ ভৈল সুর্য্যকি#ণ-সংযোগে ঈষৎ লোহিত বর্ণ হইয়। দীপ্তি পায় । লোকে তাহ দ্বারা প্রদীপ জ্বালাইয় থাকে । শুভ্রবর্ণ ভৈল বায়ুস্পর্শে অচির কাল মধ্যে জ্বলিয়া উঠে । জলে