[ ९७० ] প্রশান্ত মহাসাগরের তীর হইতে প্রায় তিন ক্রোশ অস্তরে রিমাক নামক ক্ষুদ্র নদীর তটে ইহার অবস্থান। এখানে ভূমিকম্পের অত্যন্ত দৌরাত্ম্য। প্রতি বৎসর গড়ে পঁয়তাল্লিশ বার সামান্য রূপ কম্প হইয়া থাকে এবং প্রতি শতাব্দীতে দুই বার অতি দুরন্তরূপে হইয়া ঘোর প্রলয় উপস্থিম্ভ করে। এই নগরে প্রায় ৫৫,০০০ লোকের বাস। কজকো এদেশের প্রাচীন রাজধানী। এই নগর সাগর পৃষ্ঠ হইতে প্রায় ৭৫০০ হস্ত উৰ্দ্ধে এক পাৰ্বতীয় প্রদেশে অবস্থিত। এখানে প্রাচীন ইঙ্কদিগের অনেক সৌধের বিনাশাবশেষ পতিত রহিয়াছে। এই নগরে প্রায় ৪০,০০০ লোকের বাস। টক্সিলো নগর পেরুর প্রধান অর্ণববন্দর। বলিবিয়া । বলিবিয়ার উত্তর সীমা পেরু ও ব্রাজৗল ; পুর্ব সীমা ব্রাজীল ও পারগোয় ; দক্ষিণ সীমা লাপ্লাট ও চিলি ; পশ্চিম সীমা প্রশাস্ত মহাসাগর ও পেরু । ইহার পরিমাণ ফল প্রায় ৮০,০০০ বর্গ ক্রোশ । অধিবাসীর সংখ্যা প্রায় ১০,০০,০০০ । বলিবিয়ার পশ্চিম ভাগ মরুভূমি ; মধ্যস্থল পৰ্বতময়, তথায় সাগরপৃষ্ট হইতে প্রায় ৯,০০০ হস্ত উচ্চ ও ২০,০০০ বর্গ ক্রোশের অপেক্ষাও অধিক আয়ত একটা সমতল অধিত্যক দেখিতে পাওয়া যায় । সেই অধিত্যকাকে ড়েসাগোয়াডেরো কহে । তাহার অভ্যন্তরে টিটিকাকা হ্রদ। আদিম পৈরব ও বলিবীয়ের এই হ্রদকে অতিশয় পবিত্র জ্ঞান করে। ইহার অন্তর্গত টিটিকাক দ্বীপে সুর্য্যদেবের এক মন্দির ছিল। ঐ মন্দির সুবর্ণ পত্রে মণ্ডিত ছিল। তথায় মান দিগেদশ হইতে যাত্রীরা অামিয়া রাশি রাশি সুবর্ণ ও হীরকাদি মণি অৰ্পণ করিত। প্রথিত
পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।