পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ९ 8 > ] তমে রুশিয়া ও চীন সাম্রাজ্য ভিন্ন আর কেহই ইহাকে পরাস্ত করিতে পারে না । স্বাধীন হওয়ার পর অবধি ক্রমশই ব্রাজীলের শ্রীরদ্ধি হইয়া আসিতেছে। ব্রাজীলের রাজধানী রায়ে জেনিরে। এই নগরের সম্পূর্ণ নাম সান সিবাষ্টিয়ে ডে রায়ে ডি জেনিরো। কিন্তু সচরচর ইহাকে রায়ে জেনিরে। অথবা আরও সঙেক্ষপে রায়ে পাত্ৰ কহিয়া থাকে। এই নগর আটলাণ্টিক মহাসাগরের একটা পোতাশ্রয়ের উপকূলে অবস্থিত। সেই পোতাশ্রয় স্থলে এরূপ বেষ্টিত যে তন্মধ্যে জাহাজাদি অতি নিরাপদে থাকে। এই নগরে ইয়রোপীয় প্রণালীতে নিৰ্ম্মিত বিস্তর হর্ঘ্য, একটী সাধারণ পুস্তকাগার, অনেক বিদ্যামন্দির এবং নিঃস্ব ও পীড়িতদিগের আশ্রয়ের নিমিস্ত বহুল স্থান দেখিতে পাওয়া যায়। সমুদায় দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে রায়োর তুল্য বিস্তৃত ও বহু বাণিজ্যের নগর আর নাই । ইহাতে প্রায় ২,৫০,০০০ লোকের বাস । । w গায়েনা । ওরিনকে ও আমেজন নদীর মধ্যবর্তী বিস্তৃত ভূভাগের সাধারণ নাম গায়েনা । অধুনা ইহার অৰ্দ্ধেকেরও অধিক ব্রাজীলের, ও সিকি বেনিজুয়েলার-অন্তর্গত। অবশিষ্ট ভাগ ইঙ্গরেজ ওলন্দাজ ও ফরাশিদিগের ত ধিকৃত এবং ইঙ্গরেজগায়েনা, ওলন্দাজগায়েন ও ফরাশিগায়েন নামে পরিচিত । গায়েনার উপকূলভাগ নিম্ন ভূতল এবং সর্বত্র এরূপ সমান আকার যে বারংবার গমনাগমন করিয়াও পোতবাহীরা তত্রত্য স্থান সকল সহজে নির্ণয় করিতে পারে না। সেই ঔপকূলিক নিম্নভূমি অভ্যন্তরাভিমুখে সতর ও ছাব্বিশ ক্রোশের মধ্যে