পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিছুই নাই ; ইহার পূর্বাঞ্চলে টিপলি নামক প্রদেশে সাহারা মরু প্রায় সাগরের তীর পর্য্যন্ত প্রবেশ করিয়াছে ; অতি সঙ্কীর্ণ এক ফালি ভূখণ্ড মাত্র সেতু স্বরূপ হইয়া সাহারামরু ও ভূমধ্যসাগরকে পরপর ব্যবহিত করিতেছে। টিপলি হইতে পূৰ্বমুখে গমন করিলে মিসর পর্য্যন্ত প্রায় সর্বত্রই অনুৰ্বর ভূমি দৃষ্টি পথে পতিত হয় । * বাৰ্বরির যে সকল প্রদেশ ভূমধ্যসাগরের সমীপবৰ্ত্তী ও যেখানে, আটলাস পৰ্বত ব্যবধান থাকাতে সাহারা মরুর উষ্ণ বাঞ্জাবাত প্রবেশ করিতে পারে না তৎসমূদায় প্রদেশ সচরাচর নাতিশীতোষ্ণ। পূৰ্বভাগে এরূপ ব্যবধান নাই, তথায় দিবসে অতিশয় গ্ৰীস্ম, রাত্রিতে তদনুরূপ দুরন্ত শীত । লার্বরির মধ্যে আটলাস পৰ্বতের যে সকল অস্তর্দেশে জলকষ্ট নাই তৎসমুদ্ৰায়ের ভূমি অতিশয় উর্বর, অপ শ্রমে অপৰ্য্যা গু শস্য উৎপন্ন হয় । রোম সাম্রাজ্যের অভু্যদয় সময়ে আফ্রিকার এই ভাগ অখিল জগন্মগুলের শস্যভাণ্ডার বলিয়া খ্যাত হইয়াছিল। অধুনা এখানকার কৃষিকৰ্ম্ম অতি অপকৃষ্ট প্রণালীতে সম্পন্ন হয়, তথাপি পশ্চিম ভাগ হইতে স্পেন দেশে শস্য প্রেরিত হইয়া থাকে । এখানকার শস্য ইয়রোপের দাক্ষিণাত্য দেশ সকল ও লিবাণ্ট সাগরের উপকুল সমুদায়ের শস্য হইতে ভিন্ন জাতীয় নহে এজন্য সৰিশেষ উল্লেখ করা গেল ন । বঙ্কিরিতে অনেক প্রকার অরণ্য শুরু ও মুগন্ধি ব্লক্ষ উৎপন্ন হইয় থাকে। বারিতে আটলাস পৰ্বতে সিংহ, তরক্ষু প্রভৃতি হিংস্র শ্বাপদ বিচরণ করে, গ্রাম্য জন্তুর মধ্যে অশ্ব, গাভি, মেঘ ও fগ প্রধান । এখানকার অশ্ব বহুকালাবধি প্রসিদ্ধ, গতি অলপ দুগ্ধলত, সেই দুগ্ধও স্বাড় মতে, মেষের লোকা অতি