১২৪
থাকে। তাহার দক্ষিণ সীমা ত্রিপুরা, ও পশ্চিম সীমা ময়মনসিংহ জেলা।
এই জেলা পর্ব্বতময়, এ প্রযুক্ত তাহার পরিমাণানুসারে লোকসংখ্যা নহে; বোধ হয় তাহাতে পাঁচ লক্ষ লোক হইতে পারে; তাহার মধ্যে সাত আনা মুসলমান নয় আনা হিন্দু।
এই জেলার নিম্নভাগে অনেক ধান্যোৎপত্তি হয়, ও পর্ব্বতে কার্পাস ও চিনি জন্মে, ও বঙ্গদেশে যত চূণ ব্যয় হয়, তাহা সকল প্রায় শ্রীহট্ট জেলাহইতে আইসে; এবং অগুরু, রেসম, কমলালেবু, মুগাধুতি, ইত্যাদি দ্রব্য উত্তমরূপে জন্মে; এবং সেখানে শ্রীযুক্ত কোম্পানি বাহাদুরের লোকে হস্তী ধরে।
এ দেশের প্রধান নগর শ্রীহট্ট ও আজমীরগঞ্জ, ও প্রধান নদী মেঘনা ও সুরমা।
এই জেলা বড় বিস্তার, তাহাতে তরফ অর্থাৎ পরগণার দ্বারা অসংখ্য বিভাগ হইয়াছে। আর পূর্ব্বে সেখানকার রাজকর কড়ি লওয়া যাইত, এইক্ষণে তথা মুদ্রাদির চলন হইয়াছে।
বালক শিক্ষার্থে প্রশ্নোত্তর।
প্র। শ্রীহট্টের উত্তর ও পূর্ব্ব ও দক্ষিণপূর্ব্ব দিকে কি আছে?
উ। সে দিকে অনেক উচ্চ পর্বত আছে, যাহাতে কুকী ও খাসী ও গারো ইত্যাদি নানা প্রকার পর্ব্বতীয় লোক থাকে।