পাতা:ভূবিদ্যা বিষয়ক পাঠ.pdf/১০৬

( פפ ) ধনি করত ১০০/২০০ ফুট উৰ্দ্ধে, বtfর উৎক্ষিপ্ত করে । মুঙ্গের ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড নামক উষ্ণ প্রস্রবণও অগ্নি সন্তু ভ। দক্ষিণ আমেরিকার বেনিজুল প্রদেশের টিঞ্চির}, জাপানদ্বীপের অরিজিনো, ও আইসলণ্ডের গয়েসর প্রভৃতি প্রস্রবণের জল অতিশয় উষ্ণ । অরিজিমোর জল এত উষ্ণ যে বাষ্প হইয়া উঠিয়া থাকে। এতদ্ভিন্ন ফ্রান্স ইংলণ্ড প্রভৃতি দেশে, ও অন্যান্য স্থানের আগ্নেয় গিরিপ্রদেশে অসংখ্য উষ্ণ প্রস্রবণ দৃষ্ট হয়। সমুদ্র মধ্যে কখন কখন প্রস্রবণ দেখা যায় । প্রস্রবণের জল প্রায়ই বিশুদ্ধ নহে। ভূগর্ভ হইতে আসিবার কালে ইহাতে চূণ প্রভৃতি নানাবিধ পদার্থ মিশ্রিত হয় । কোন কোন প্রস্রবণের জলে অন্য পদার্থ পড়িলে ক্রমশঃ রাসায়নিক ক্রিয়া বিশেষে পরিবর্তিত হইয়া যায় । আয়লণ্ড দেশের লফনী নামক প্রস্রবণে কাষ্ঠাদি পড়িলে প্রস্তরীভূত হয়। টস্কানি প্রদেশের সেন্টফিলিপো প্রস্রবণে মুদ্রাদি রাখিলে চুণের আবরণ যুক্ত হয়। ডেনিউব নদীর উপর বিখ্যাত রোমীয় সম্রাট টেজান যে সেতু নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন তাহার কাষ্ঠগুলি একপ্রকার প্রস্তরের ন্যায় পদার্থে পরিণত হইয়াছে। কোন কোন প্রস্রবণে গন্ধক, আইওডিন লৌহ প্রভৃতি পদার্থ থাকতে নানা রোগগ্রস্ত-ব্যক্তিদিগের পক্ষে সময়ে সময়ে মহোপকারী হয় । সকল প্রস্রবণ হইতে সমান পরিমাণে জল নিৰ্গত হয়