পাতা:ভূবিদ্যা বিষয়ক পাঠ.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১০১ ) নদী অাছে বলিয়া বাণিজ্যের বিস্তর সুবিধা হইয়াছে । নদী দ্বারা ভূভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, উচ্চ দেশের মৃত্তিক নিম্ন প্রদেশে অtণীত হয়, ও প্রকাণ্ড পদার্থরাশি সাগর গর্ভে প্রেরিত হয় । গঙ্গা ব্ৰহ্মপুত্র, মিসিসিপি, আমেজন প্রভূতির জল দ্বারা এত অধিক পরিমাণে কৰ্দ্দম প্রবাহিত হয়, যে তদারা নদীর মোহনায় ক্রমাগত ভূভাগ রদ্ধি হইতেছে। গঙ্গা প্রভূতি নদীর জলে এত বালুক থাকে, যে তাহাতে শাখাসরিৎ গুলি পূর্ণ হইয় ঘাইতেছে । চিরকাল এক খাত দিয়া নদী প্রবাহিত হয় না । ণেন কারণ বশতঃ তাহতে কোন প্রতিবন্ধক উপস্থিত হইলে, নূতন দিগ দিয়া নদীর গতি হয়। কোন কোন নদী প্রবাহিত হইতে হইতে, মৃত্তিকা দ্বারা শোষিত হইয়া যায়। এইরূপ অন্তঃসলীল থাকিয়া যায়, কোম কোনটী কিয়দর ঘাইয়া পুনরায় ভূপৃষ্ঠে দেখা দেয় । পাৰ্ব্বতীয় প্রদেশে অধিক পরিমাণে রষ্টি হয় বলিয়। সচরাচর তথা হইতেই নদীর উৎপত্তি হয়। উচ্চ প্রদেশ হইতে নিম্নভাগে গমন করিবার কালে নদী অতিশয় বেগবতী হয়, তৎপরে সমভূমিতে তালিয়া বেগ কমিয়। যায়, তখন অন্যান্য সরিৎসহ ইহার মিলন হইতে থাকে। ক্রমে সমুদ্রের যত নিকটবর্তী হয়, ততই নদীর বেগ হুস্ব হয় । নদীর এই তিন ভাগের নাম প্রথম, মধ্য, ও শেষ বলা যাইতে পারে। যে সকল নদী সরলরেখাক্রমে গমন করে, তাহাদের বেগ অতি প্রবল