পাতা:ভূবিদ্যা বিষয়ক পাঠ.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১০৬ ) দ্ভিন্ন জলীয় বাষ্প প্রভৃতি কএকটা পদার্থ ইহাতে বিদ্য মান আছে। বায়ুরাশির এক ভাগ অন্য ভাগ অপেক্ষা উত্তপ্ত হইলে অপেক্ষাকৃত লঘু হয়, সুতরাং উৰ্দ্ধে চলিয়া যায়, তখন পার্শ্ববৰ্ত্তী শীতল বায়ু আসিয়া তাহার স্থান অধিকার করে । এইরূপ বায়ু গমনাগমনেই বায়ুপ্রবাহ উৎপন্ন হয় । এই প্রবাহের বেগ অনুসারে, মন্দ সমীরণ, ঝড়, ঘূর্ণি-বায়ু প্রভৃতি নানা নাম দেওয়া যায় । স্বৰ্য্যভপই বায়ুপ্রবাহের প্রধান কারণ । বায়ুর বেগ এক ঘণ্টায় ৩ মাইলের কিছু অধিক মা হইলে বায়ু সুখপ্রদ হয় না, ১০। ১৫ মাইল হইলে তাহণকে প্রখর বায়ু বলা যায়, তাহার অধিক হইলেই ঝড় বলিয়া গণ্য হয় । ঝটিকার বেগ কখন কখন ৫০.৬০ মাইল দেখা যায়। ঘূর্ণিবায়ু অতিশয় ভয়ানক। ঘূর্ণিবায়ুর বেগ ৮০১০-১২৫ মাইল। ১৮৬৭ সালের ১ লা নবেম্বর ও ১৮৬৪ সালের ৫ই অকৃটোবর তারিখে কলিকাতা প্রদেশে যে ভয়ানক ঝটিকা উত্থিত হইয়া রক্ষণদি উৎপাটিত, গৃহাদি চূৰ্ণ, ও নেকাদি জলময় করে, ও যাহাতে এতদ্দেশীয় বহুলোক সপরিবারে মৃত্যুগ্রাসে পতিত হয়, তাহ এক প্রকার মূর্ণিবায়ু । সমুদ্রে ঘূর্ণিবায়ু হইলে কখন কখন জলস্তম্ভ উৎপন্ন করে। নানাদিগ হইতে বায়ু-প্রবাহ আসিয়া পরস্পর ঠেকাঠেকি হইলে ঘূর্ণিবায়ু উৎপন্ন হয় । 拳 বিষুবরেখার নিকটস্থ দেশ অধিক উত্তপ্ত হয় বলিয়া