পাতা:ভূবিদ্যা বিষয়ক পাঠ.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( > ) দেখা যাইতেছে, যে স্তরটা যত নীচে, তাহা তত অধিক কালের । এই সকল কথা স্মরণ রাখিলে নিম্নলিখিত বিবরণ বোধগম্য হইবে । লোকে আকরিক পদার্থের অনুসন্ধানে সুগভীর আকর খনন করিয়াছে। তাহাতে ভূমণ্ডলের স্তরনিৰ্মাণপ্রণালী অনেক দূর আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই সকল স্তরের এক একটী এক এক জাতীয়, ও ইহাদের প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র জাতীয়-উদ্ভিদ-ও-জীব-কঙ্কাল-সমাকীর্ণ। যে যে স্তর উপযুপরি স্থাপিত, তাছাদের জীব ও উদ্ভিজ্জের কতক দূর সোসাদৃশ্য আছে, অর্থাৎ হয়ত একটা স্তরের ১৫০ জাতীয় জীবের মধ্যে ৯০টা নিকটবর্তী স্তরে পাওয়া যায়। অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী স্তরের সহিত এত মিলিবার কথা নাই । ভূপৃষ্ঠের নীচের স্তরে কোন জীবশরীরের নিদর্শন পাওয়া যায় না ; হয়ত তৎকালে কোন জীব জন্মে লাই, অথবা তাহদের কঙ্কাল বিলুপ্ত হইয়াছে। অভ্র, স্ফটিক, গ্রালিট প্রস্তর প্রভৃতি এই স্তরে বিদ্যমান আছে। পরবর্তী কোন স্তরে পাতরিয়া কয়লা, কোথায়ও বা লবণ, কুত্ৰাপি চা খড়ি প্রভৃতি পাওয়া যায়, ও পর্য্যায় ক্রমে মৎস্য, সরীস্থপ, স্তল্য-জীবী ও পরিশেষে মসুয্যের নিদশন দৃষ্ট হয়। এই সকল স্তর এত পুৰু যে, এক একটা জন্মিতে অতি দীর্ঘকাল লাগিয়াছে। এক্ষণে নদীর মোহানাতে ও হ্রদের গর্ভে যত কালে যে পরিমাণে