পাতা:ভূবিদ্যা বিষয়ক পাঠ.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8: ) হয়, তাহাতে ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি হয়, সুতরাং নানাবিধ ফল মূল শস্যাদি জন্মিবার উপযুক্ত স্থান প্রাপ্ত হওয়া যায়। গ্রীষ্মমণ্ডলের পর্বতশ্রেণী দ্বারা মনুষ্যের অাৰসভূমি রদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। পৰ্ব্বতশিখরের বরফরাশি দ্রব হইয়। উৎস ও নদীর পুষ্টিসাধন করে। পৰ্ব্বত হইতে নানাবিধ মৃত্তিকা, জলসহযোগে দূরবর্তী প্রদেশে নীত হইয়া, ক্ষেত্রের উর্বরতা বৃদ্ধি করে। পৰ্ব্বতপাশ্বের্ণ অসংখ্য তৃণলতা ও রক্ষাদি জন্মিয়া বাহদৃশ্যের সৌন্দৰ্য্য সম্পাদন করে। এই সমুদায় উদ্ভিদ অনেক জন্তুর অণহারে লাগে । সেই সকল জন্তু আবার মনুষের অশেষ প্রয়োজন ও সুখের সাধন হইয়। থাকে। পৰ্ব্বত থাকতে তীক্ষু শীতল বায়ু দেশ মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়। অশেষবিধ সুকোমল উদ্ভিদ নষ্ট করিতে পারে না। কোথায় বা সাগরতরঙ্গসকল পৰ্ব্বতে প্রতিহত হওয়াতে দেশের ভূমি ক্ষয় হইতে পারে না। পৰ্ব্বত্ত সকল ভূগর্ত হইতে উত্থিত হইয়া নানাবিধ আকরিক পদার্থ উৰ্দ্ধে, আনয়ন করিয়া রাখিয়াছে, সুতরাং অপেক্ষাকৃত অপায়াসে তাহার। মনুষ্যের করতলস্থ হুইয়া নানা প্রয়োজনে লাগিতেছে । পৰ্ব্বতের উচ্চতা, অবস্থান, সমুদ্র হইতে দূরত্য প্রভৃত্তি কারণে শীতাতপের অনেক স্থানাধিক্য হয়। এতদ্ভিন্ন, পর্বতশ্রেণীর শীতোষ্ণতা নিকটবৰ্ত্তী দেশের অপেক্ষ অনেক অংশে ভিন্ন।