পাতা:ভূবিদ্যা বিষয়ক পাঠ.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 44 ) ১৮২৭ সালের ১৬ই নবেম্বর বগেtট অঞ্চলে ভূমিকম্প হইয়া অনেক নগরের গৃহাদি পতিত হয়। নদীর জল বৃদ্ধি হয়, তাহাতে গন্ধকের গন্ধ পাওয়া গিয়াছিল । স্থানে স্থানে ভূমি ফাটিয়া যtয় ও নদীর গতিরোধ হয়। এই কালে অধিক বৃষ্টি হইয়াছিল। এণ্ডিস শ্রেণীতে তৎকালে দুইটা গিরির অগ্ন্যুদগম হইতেছিল। ১৮১৯ সালের ১৬ই জুন তারিখে কচ্ছপ্রদেশে যে ভূমিকম্প হয়, তাছাতে ভুজ নগর বিনষ্ট হইয়া যায়। কলিকতা, কাইমুণ্ড ও পটুঞ্চেরিতে ইহার শক্তি প্রকাশিত হয়, ও আহমেদাবাদ নগরের মসজিদ ভূমিসাৎ হয়। ৩০ মাইল দূরে দীনোদর আগ্নেয়গিরি হইতে তৎকালে অগ্নি নিঃসরণ হইয়াছিল, একথা অনেকে বলে । এই সময়ে সিন্ধু নদীর পূর্ব শাখার জলের গভীরতা ১ ফুট হইতে ১৮ ফুট হইয়া যায়, ও সিন্দুরী নামক দুর্গ ও গ্রাম বসিয়া গিয়া জল দ্বারা আঞ্জত হয় । দুগের উপরি ভাগ জলমগ্ন হয় না, এজন্য তাহাতে আরোহণ করিয়া অনেকের প্রাণ রক্ষা হয়। সিন্দুরী হইতে অস্থান ৫ মাইল দূরে ৫• মাইল দীর্ঘ, প্রায় ১৬ মাইল প্রশস্ত ও পাশ্ব ভূমি হইতে ১০ ফুট উচ্চ, একটী পাহাড় উৎপন্ন হয়, তাহ{ ঈশ্বরকৃত ভাবিয়া, লোকে তাহাকে আল্লাৰ্বাদ বলিয়া থাকে । এই বাধের এক স্থান ভেদ করিয়া এক্ষণে সিন্ধু নদী প্রবাহিত হইতেছে । আজিও সিন্দুরীর ছুগের উপরি ভাগ দেখিতে পাওয়া যায়। কচ্ছের রণ প্রদেশ বালুক