পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গে ফিরে যায়। কেবল দোকানের ফেলনা ঘিয়ের খাবার খেয়েই বেঁচে থাকে না বলে দুজনের সব লোম খসে যায়নি, ঘন লোম একটু পাতলা হয়েছে আর দুএকটা ছোটখাট টাক পড়েছে এখানে ওখানে। তিনিকুর চেহারা বেশ জমকালো, গম্ভীর গোমড়া মুখ, মাঝবয়সী জোয়ান মন্ধ কুকুর। তার কাছে রোগা ছোটখাটো ভুলিকে কেমন বেমানান দেখায়। বয়সে কিন্তু ভুলি তিনিকুর চেয়ে বড়ই হবে । তেজ কিন্তু তার কম নয়, মাঝে মাঝে তার দাতখিচুনিতেই তিনিকুকে বিনা প্ৰতিবাদে তফাতে সরে যেতে দেখা যায় । গত বছর পাঁচটি বাচ্চ হয়েছিল। শরীরটা ভালো ছিল না ভুলির, পাচটিকে বঁাচাতে পারবে না জেনে দুটিকে বেছে নিয়ে মাই না দিয়ে নিজেই সে মেরে ফেলেছিল। একটি খেয়েছিল শেয়ালে, একটি মরেছিল দুর্বোধ্য রোগে এবং অন্যটিকে চেয়ে নিয়ে নানু গলায় দড়ি বেঁধে টেনে টেনে বেড়িয়েই শেষ করে দিয়েছিল। বর্ষা ঋতুর আসন্ন BBDBD BB DBDB DDu uzDYSDD BDBD BDBD BDBDSS দোকানের সামনে চুপচাপ পড়ে থেকে সারাক্ষণ ওরা শুধু জিভ বার করে হাপায় না। খানিক আগেও গোবর্ধন ওদের ছুটোছুটি লাফাBBBD DBK BJBBDSBBBBDD S DDBD DDD DBBtBD DDD তিনকুকে হার মেনে শূন্যে চার পা তুলে চিৎ হয়ে পড়তে দেখেছে। গোবধানের কালোও যে বর্ষা ঋতুর তাগিদে বসন্ত-ব্যাকুল মানুষের মতো চঞ্চল হয়ে সঙ্গিনীর খোজে বেরিয়ে পড়বে, কে তা জানত । তিনিকুর সঙ্গে তার বেধেছে। লড়াই এবং দুজনকে ঘিরে চারিদিকে পাক দিতে দিতে তীব্ৰ তীক্ষকণ্ঠে চিৎকার জুড়েছে ভুলি। তিন দফা লড়ায়ের পর কালোকে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যেতে দেখে গোবধানের মনটা বিগড়ে গেল। কালোর সম্বন্ধে সে একান্ত উদাসীন, তার আস্তাকুঁড় ঘেঁটে আর মাটির খোলায় গুণমতীর দেওয়া একমুঠো ভাত খেয়ে কালো বেঁচে R