পাতা:ভেজাল - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবার অজ্ঞান হয়ে গিয়ে আবার চেতনা ফিরে এল, তবু সে শব্দ করল। না। আতনাদগুলি বুকে চেপে, গোঙানিগুলি গলায় আটকে রেখেদিল । নটাবর ছেড়ে দেওয়ামাত্র সে পাশ ফিরল। আলো নিভিয়ে চৌকির বিছাসায় শোবার সময় কতব্যবোধে নটবর বলল, “গা যেন তোর গরম দেখলাম, জর হয়েছে নাকি ?” 'qकरे श्वत्छ।' “মেঝেতে কেন তবে ? চৌকিতে উঠে আয় ।” ‘যাই কিন্তু শেষ পর্যন্ত চৌকিতে সে গেল না। আলো নেবার আগে সে দেখেছে, পিঠের রক্তে মাদুর লাল হয়ে গেছে। নটবর ঘুমিয়ে পড়ল। অল্পক্ষণের মধ্যেই। ঘুম গাঢ় হয়ে এলে তার নাক ডাকতে আরম্ভ করল। তখন চুপিচুপি দরজা খুলে সুখময়ী বাইরে বেড়িয়ে । গেল। রাত বেশি হয়নি, শশধর জেগে আছে। পাড়ার লোকও হয়তো জেগে আছে অনেকে। থাক জেগে ! কতক্ষণ লাগবে তার সুবলকে দুটি কথা শুধিয়ে আসতে ? বাগান হয়ে বেগুনক্ষেত পার হলেই সুৰলের द5ि । ডুবুডুবু চাঁদের জ্যোৎস্না এখনও একটু আছে। বাগানের গাঢ় অন্ধকার কোন রকমে পার হলে পথের চিহ্ন নজরে পড়ে। সুখময়ী তরতর করে বেগুনক্ষেতের বেড়া ঘেষে এগিয়ে গেল। তাড়াতাড়ি ফেরা চাই, নটৰরের ঘুম ভেঙ্গে গেলে যাতে সহজ স্বাভাবিক বিশ্বাসযোগ্য কৈফিয়ৎটা দেওয়া যায়। সুবলের বাড়ির ঘরে ঘরে আলো নিভেছে । তার ঘরের পাশে গাঁদা ফুলের বাগান। একটু তার ফুলের বাগান করার সখ আছে। বাড়ির সামনের বাগানটি তার দেখবার মতো, R