পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
ভ্রান্তিবিলাস।

নিকট একটিও অলীক কথা বলেন নাই। উভয়ের কথা শুনিয়া, বসুপ্রিয় স্বর্ণকার বলিলেন, মহারাজ! আমি ইহাদের তুল্য মিথ্যাবাদিনী কামিনী ভূমণ্ডলে দেখি নাই; উভয়েই সম্পূর্ণ মিথ্যা বলিতেছেন। চিরঞ্জীববাবু আজ উন্মাদগ্রস্তই হউন, আর যাই হউন, উনি যে অভিযোগ করিতেছেন, তাহা সম্পূর্ণ সত্য। আপনি এই দুই দুরাচারিণীর বাক্যে বিশ্বাস করিবেন না।

 অনন্তর, চিরঞ্জীব নিজ দুরবস্থার বৃত্তান্ত আদ্যোপান্ত বর্ণন করিতে আরম্ভ করিলেন। মহারাজ! আমি মত্ত বা উন্মত্ত কিছুই হই নাই। কিন্তু আজ আমার উপর যেরূপ অত্যাচার হইয়াছে, যাহার উপর সেরূপ হইবেক, সেই উন্মত্ত হইবেক। প্রথমতঃ, আহারের সময়, দ্বার রুদ্ধ করিয়া, আমায় বাটীতে প্রবেশ করিতে দেন নাই; তৎকালে বসুপ্রিয় স্বর্ণকার ও রত্নদত্ত বণিক আমার সঙ্গে ছিলেন। আমি ক্রোধভরে দ্বারভঙ্গে উদ্যত হইয়াছিলাম; রত্নদত্ত অনেক বুঝাইয়া আমায় নিবারণ করিলেন। পরে আমি, বসুপ্রিয়কে সত্বর আমার নিকট হার লইয়া যাইতে বলিয়া, রত্নদত্ত সমভিব্যাহারে অপরাজিতার বাটীতে আহার করিলাম। বসুপ্রিয়ের আসিতে অনেক বিলম্ব হওয়াতে, আমি উঁহার অন্বেষণে নির্গত হইলাম। পথিমধ্যে উঁহার সহিত সাক্ষাৎ হইল। তৎকালে ঐ বণিকটি উঁহার সঙ্গে ছিলেন। বসুপ্রিয় কহিলেন, কিঞ্চিৎ পূর্ব্বে আমি তোমায় হার দিয়াছি, টাকা দাও! কিন্তু, জগদীশ্বর সাক্ষী, আমি এ পর্য্য়ন্ত হার দেখি নাই। উনি তৎক্ষণাৎ রাজপুরুষ দ্বারা আমায় অবরুদ্ধ করাইলেন। পরে