পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
ভ্রান্তিবিলাস।

 এইরূপে সংশয়াপনোদন কাণ্ড সমাপিত হইলে, জয়স্থলবালী চিরঞ্জীব কহিলেন, মহারাজ! আমি যেরূপ শুনিয়াছি, তাহাতে সায়ংকালের মধ্যে দণ্ডের টাকা দিলেও, আমার পিতা প্রাণদণ্ড হইতে নিষ্কৃতি পাইবেন, আপনি দয়া করিয়া এই আদেশ প্রদান করিয়াছেন, অনুমতি হইলে, ঐ টাকা আনাইয়া দি। বিজয়বল্লভ কহিলেন, চিরঞ্জীব! তোমাদের এই অসম্ভাবিত সমাগম দর্শনে আমি যে অনির্ব্বচনীয় প্রীতি লাভ করিয়াছি, তাহাতে আমার সমৃদ্ধ সাম্রাজ্য প্রাপ্তি অপেক্ষাও অধিকতর লাভ বোধ হইয়াছে; অতএব, তোমার পিতা দণ্ড প্রদান ব্যতিরেকেই প্রাণদান পাইলেন। এই বলিয়া তিনি, সন্নিহিত রাজপুরুষদিগকে সোমদত্তের বন্ধনমোচন ও বধ্যবেশের অপসারণ করিতে আদেশ দিলেন।

 এই রূপে সকল বিষয়ের সমাধান হইলে, লাবণ্যময়ী, গলবস্ত্র ও কৃতাঞ্জলি হইয়া, বিজয়বল্লভকে সম্ভাষণ করিয়া, কহিলেন, মহারাজ! আমার কিছু প্রার্থনীয় আছে; কৃপা করিয়া শ্রবণ করিতে হইবেক। বিজয়বল্লভ কহিলেন, লাবণ্যময়ি! যাহা ইচ্ছা হয়, সচ্ছন্দে বল, সঙ্কুচিত হইবার অণুমাত্র আবশ্যকতা নাই; আজ তোমার কোনও কথাই অরক্ষিত হইবার বা কোনও প্রার্থনাই অপরিপূরিত থাকিবার আশঙ্কা নাই। শুনিয়া, সাতিশয় হর্ষিত ও উৎসাহিত হইয়া লাবণ্যময়ী কহিতে লাগিলেন, মহারাজ! আমি এত কাল মনে করিতাম, আমার মত হতভাগা নারী আর নাই; কিন্তু আজ দেখিতেছি, আমার মত ভাগ্যবতী