পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/২০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৮
ভ্রান্তিবিলাস।

করিলে, চিরঞ্জীব সেই বৈদেশিক বন্ধুকে কহিলেন, বয়স্য! কিঙ্কর আমার চিরসহচর ও যার পর নাই বিশ্বাসভাজন। উহার বিশেষ এক গুণ আছে; আমি যখন দুর্ভাবনায় অভিভূত হই, তখন ও পরিহাস করিয়া আমার চিত্তের অপেক্ষাকৃত সাচ্ছন্দ্য, সম্পাদন করে। এক্ষণে চল, দুই বন্ধুতে নগর দর্শন করিতে যাই; তৎপরে উভয়ে পান্থনিবাসে এক সঙ্গে আহার আদি করিব। তিনি কহিলেন, আজ এক বণিক আহারের নিমন্ত্রণ করিয়াছেন, অবিলম্বে তদীয় আলয়ে যাইতে হইবেক। তাঁহার নিকট আমার উপকারের প্রত্যাশা আছে। অতএব আমায় মাপ কর, এখন আমি তোমার সঙ্গে যাইতে পারিব না; অপরাহ্নে নিঃসন্দেহ সাক্ষাৎ করিব, এবং শয়নের সময় পর্য্যন্ত তোমার নিকটে থাকিব। এই বলিয়া, সে ব্যক্তি বিদায় লইয়া প্রস্থান করিলে, চিরঞ্জীব একাকী নগর দর্শনে নির্গত হইলেন।

 জয়স্থলবাসী চিরঞ্জীব অতি প্রত্যুষে গৃহ হইতে বহির্গত হইয়াছিলেন; আহারের সময় উপস্থিত হইল, তথাপি প্রতিগমন করিলেন না। তাঁহার গৃহিণী চন্দ্রপ্রভা, অতিশয় উৎকণ্ঠিত হইয়া, কিঙ্করকে আহ্বান করিয়া কহিলেন, দেখ, কিঙ্কর! এত বেলা হইল, তথাপি তিনি গৃহে আসিতেছেন না। বোধ করি, কোনও গুরুতর কার্য্যে আবদ্ধ হইয়াছেন, তাহাতেই আহারের সময় পর্য্যন্ত ভুলিয়া গিয়াছেন। তুমি যাও, সত্বর তাঁহাকে ডাকিয়া আন; দেখিও, যেন কোনও মতে বিলম্ব না হয়; তাঁহার জন্যে সকলকার আহার বন্ধ। কিঙ্কর, যে আজ্ঞা