পাতা:ভ্রান্তিবিলাস.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
ভ্রান্তিবিলাস

পারিতেছি না। কিঙ্কর কহিল, কেন মহাশয়। আপনি কি জানেন না, আপনকার সহধর্ম্মিণীকে আমরা সকলেই কর্ত্রী ঠাকুরাণী বলিয়া থাকি; তিনি ভিন্ন আর কাহাকে কর্ত্রী ঠাকুরাণী বলিব। তিনিই আমায় আপনাকে গৃহে লইয়া যাইবার নিমিত্ত পাঠাইয়াছেন। চলুন, আর বিলম্ব করিবেন না; আহারের সময় বহিয়া যাইতেছে। চিরঞ্জীব কহিলেন, নিঃসন্দেহ তোমার বুদ্ধিভ্রংশ ঘটিয়াছে, নতুবা উন্মাদগ্রস্তের ন্যায় কথা কহিতে না। আমি কবে কোন কামিনীর পাণিগ্রহণ করিয়াছি যে, তুমি বারংবার আমার সহধর্ম্মিণীর উল্লেখ করিতেছ। এখানে আমার বাটী কোথায় যে, আমায় বাটীতে লইয়া যাইবার জন্য এত ব্যস্ত হইতেছ। কিঙ্কর শুনিয়া হাস্যমুখে কহিল, মহাশয়। যেরূপ দেখিতেছি, তাহাতে আপনারই বুদ্ধিভ্রংশ ঘটিয়াছে; আপনিই উন্মাদগ্রস্তের দ্যায় কথা কহিতেছেন। এ সকল কথা কর্ত্রী ঠাকুরাণীর কর্ণগোচর হইলে, তিনি আপনাকে বিলক্ষণ শিক্ষা দিবেন; তখন, এখানে আপনকার বাটী আছে কি না এবং কখনও কোনও কামিনীর পাণিগ্রহণ করিয়াছেন কি না, অক্লেশে বুঝিতে পারিবেন। যাহা হউক, আপনি হঠাৎ কেমন করিয়া এমন রসিক হইয়া উঠিলেন, বলুন। চিরঞ্জীব, আর সহ্য করিতে না পারিয়া, এই তোমার পাগলামির ফল ভোগ কর; এই বলিয়া, তাহাকে প্রহার করিতে আরম্ভ করিলেন। কিঙ্কর হতবুদ্ধি হইয়া কহিল, মহাশয়! অকারণে প্রহার করেন কেন; আমি কি অপরাধ করিয়াছি। আপনকার ইচ্ছা হয়, বাটীতে